কিন্তু দূষণ সমস্যা শুধু রবিবারই ছিল না ৷ সোমবারও দেখা গিয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের মাঠে ‘ইনহেলার’ ব্যবহার করতে ৷ ইনহেলার ব্যবহার করার অনুমতি আগে থেকেই আইসিসি থেকে নিয়ে রেখেছেন লঙ্কার ক্রিকেটাররা ৷ দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলেই দাবি চান্দিমলদের ৷ হঠাৎ করে দিল্লিতে বায়ু দূষণ বাড়ায় পরিবেশ বিজ্ঞানীরা দায় চাপাচ্ছেন দক্ষিণ ভারতের ঘূর্ণিঝড় ‘ওখি’কেই। গত দু’দিন ধরে দিল্লিতে মাথার কাছে নেমে এসেছে ধূসর কুয়াশা। এর প্রভাব পড়েছে কোটলার ম্যাচেও ৷
advertisement
ফিরোজ শাহ কোটলা দিল্লির যে অঞ্চলে তা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ ৷ আইটিও মোড়ে সোমবার সকালে বাতাসে ভাসমান শ্বাসযোগ্য ক্ষুদ্র কণা (পিএম ২.৫)-র সর্ব্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ১৮৩। বাতাসে এই কণার মাত্রা ১৫০–র উপরে উঠলেই তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদেরা।এই সময় ম্যাচ আয়োজন করায় তাই ক্ষুব্ধ জাতীয় পরিবেশ আদালতও ৷ এসপ্তাহে রাজধানীতে বায়ুতে দূষণের মাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা করাই হচ্ছিল ৷ সেক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা কেন দিল্লি সরকার নেয়নি বলে প্রশ্ন তুলেছে আদালত ৷ দূষণ রুখতে সরকারের পক্ষ থেকে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে ৷
দিল্লিতে তীব্র দূষণের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের মাস্ক পড়ে খেলতে দেখে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তাঁর মতে, সবাই মিলে এখনই কিছু একটা করা উচিৎ ৷ দেশের রাজধানী দিল্লির মতো জায়গায় এমন দৃশ্য মোটেই আশা করা যায় না ৷ দেশের বদনাম হচ্ছে এর জন্য ৷এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটা বাস্তব সমস্যা।