রেনুকার শৈশব ছিল সংগ্রামের প্রতীক। মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবা কেহার সিং ঠাকুরকে হারান, যিনি রাজ্যের সেচ ও জনস্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এরপর তাঁর মা সুনিতা একাই মেয়েকে বড় করেন। সীমিত আয় এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তিনি মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যান। এই দৃঢ় মানসিকতার ফলেই রেনুকা আজ ভারতীয় ক্রিকেটে এক উজ্জ্বল নাম।
advertisement
রেনুকার ক্রিকেট জীবনের সূচনা হয় তাঁর মামার হাত ধরে। তিনি পেশায় একজন শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক ছিলেন এবং রেনুকার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ও দক্ষতা প্রথম লক্ষ্য করেন। তাঁর উৎসাহে রেনুকা ভর্তি হন ধর্মশালার ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং সাফল্যের যাত্রা, যা তাঁকে ভারতের জাতীয় দলে পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুনঃ ‘কীভাবে হনুমানজির ট্যাটু তোমাকে সাহায্য করেছে?’, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব দিলেন দীপ্তি শর্মা
আজ রেনুকা সিং ঠাকুর কেবল একজন সফল ক্রিকেটার নন, তিনি সংগ্রামী নারীদের এক প্রেরণার প্রতীক। তাঁর জীবনের গল্প দেখিয়ে দেয়, মায়ের ভালোবাসা, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস থাকলে কোনো বাধাই অতিক্রম করা অসম্ভব নয়। বিশ্বকাপ জয় তাঁর জীবনের এক গৌরবময় অধ্যায়, যা ভবিষ্যতের প্রজন্মকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দেবে।
