সবুজ মেরুন সদস্য, সমর্থকদের কাছে আজও বাগান আর বোস সমার্থক। ২০২৫ এর না-হওয়া নির্বাচনেও স্লোগান ছিল, ‘সব ভোট টুটু বোস’! পোস্টার ব্যানার, ফ্লেক্সে সৃঞ্জয় বসুর সঙ্গে টুটু বসুর ছবি চিপকেই নামতে হয়েছিল ভোট যুদ্ধে! ট্যাগলাইন থাকতো, তোমাকে চাই! সচিবের হটসিটে সৃঞ্জয় এলেন, প্রাক্তন হতে চলেছেন ডাবল টু! জীবনের ৭৭ টা বছর পার করে দেওয়া এই মানুষটাই তো বাগানের বাঁশিওয়ালা। বাগানের আবেগ, বাগানের ভালোবাসা, বাগানের আশা ভরসা।
advertisement
আজ তাঁকেই সরে যেতে হচ্ছে সভাপতি পদ থেকে! স্বেচ্ছা অবসর?
বলা যাচ্ছে না! কিছুদিন আগেও তো বাগানের না-হওয়া নির্বাচনের প্রচার সভায় হাজির ছিলেন স্বমেজাজে! তারও কয়েকদিন আগে বালিগঞ্জের বসু ভিলায় সাংবাদিকদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে বলেছিলেন,’টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়!’ মোহনবাগানকে ঘিরেই তো এই টাইগারের বেঁচে থাকা, স্বপ্ন দেখা! তা’হলে?
শতবর্ষ পেরোনো ক্লাবে মতভেদ থাকতে পারে, সম্পর্কে দেওয়াল উঠতে পারে, গোষ্ঠী সমীকরণ বদলাতে পারে! কিন্তু মোহনবাগানী মানেই ডাবল-টু তে এসে এক, অভিন্ন। বাগানের অমিতাভ বচ্চন থেকে উত্তম কুমার সবই ওই একজন। বাগানের প্রবীণ থেকে নবীন সবার কাছেই তিনি হিরো। এত কিছুর পরেও!
ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে ভোটমুখী বাগানে ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে শুধু টুটু বোসের প্রশংসা করেই কট্টর সমালোচকেরও মন জিতে নিয়ে ছিলেন প্রাক্তন সচিব দেবাশিষ দত্ত। টুটু বোস সচিব পদে লড়লে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন বাগানের ডিডি! ঝাপসা সমঝোতায় বাগানে ভোট হয়নি! ডাবল-টুর কপাল লিখন আবছা নয়।
সোমবার বাগানে সৃঞ্জয় বোসের নেতৃত্বাধীন এক্সিকিউটিভ কমিটির প্রথম বৈঠক
। সহ-সভাপতি পদে কুনাল ঘোষ, মলয় ঘটক, উত্তম সাহাদের অভিষেক পোক্ত! কো-অপ্ট হয়ে কমিটিতে আসছেন সঞ্জয় ঘোষও।
কিন্তু দেবাশিষ দত্ত কি আরো একবার বেপরোয়া সাহস দেখানোর ঝুঁকি নেবেন? বাগান জনতার কৌতুহল সেখানেই! টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়। টুটু বোসকে যে আজও দরকার সবুজ মেরুনের! সংবিধানে বদলে এনে চেয়ারম্যান করা কিংবা মোহনবাগান রত্ন দেওয়ার থেকে অনেক বেশি সম্মানের! শতাব্দী পার ক্লাবের জন্য কী করেননি সাতাত্তর পেরোনো মানুষটা! হুইলচেয়ারও আলাদা করতে পারেনি মোহনবাগান ও টুটু বোসকে! ক্লাইম্যাক্সটা তাই অন্যরকম হলেই ভাল! টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়!
Paradip Ghosh