তখনই মনে হয়েছিল সোনা আসতে চলেছে। কিন্তু বাকি ছিল ক্লিন এন্ড জার্ক। সবার শেষে এলেন মীরা। প্রথম সুযোগেই তুললেন ১০৯ কেজি। বাকিদের এখানেই অনেক পিছনে ফেলে দিলেন মণিপুরের মীরা। সোনা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরও ছিল মীরার নিজের চ্যালেঞ্জ। এবার তুললেন ১১৩।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো প্রাপ্ত ভারতের মহিলা ভারোত্তোলক মীরাবাই চানু আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে ৫৫ কেজি ওজন বিভাগে নামতে পারবেন না, এটা আগে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ৪৯ কেজি বিভাগে রুপো প্রাপ্ত চানুকে এবার ৫৫ কেজি বিভাগে কমনওয়েলথ গেমস বিভাগে নামাতে চেয়েছিল, জাতীয় ভারোত্তোলন ফেডারেশন।
এই প্রতিযোগিতায় পদকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছিল ভারোত্তোলনের আন্তর্জাতিক সংস্থা। কারণ এই ৫৫ কেজি বিভাগে তিনি দেশের সেরা নন। ৫৫ কেজি বিভাগে ভারতে মেয়েদের মধ্যে এই মুহূর্তে এক নম্বরে বিন্দিয়ারানি দেবী। ২২ বছরের এই মেয়েই এখন এই বিভাগে ভারতের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন।
কমনওয়েলথ গেমসে প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন মীরাবাঈ ৪৯ কেজি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন। আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশন বিভিন্ন ওজন বিভাগে জাতীয় সেরাদের সেই বিভাগেই পাঠানোর নিয়ম জারি রেখেছে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে। সে কারণেই এই বদল। মীরা এবারের কমনওয়েলথ গেমসে নামার আগেই জানিয়েছিলেন এবারের লড়াই নিজের সঙ্গে।
কারণ চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিলেন তিনি। তাই স্বর্ণপদক ছাড়া চানুর কাছে অন্য কোনো পদক ব্যর্থতার সামিল ছিল এবারের কমনওয়েলথে। মোটিভেশন এর অভাব ছিল না তার। স্ন্যাচ এবং ক্লিন অ্যান্ড জারক বিভাগে তিনি কতটা ওজন তুলতে পারেন দেখার ছিল। দেখিয়ে দিলেন বটে মিরা। তিনি প্রথম সোনা আনলেন এবারের ভারতের ঘরে।