দু দিক থেকে উইং কাজে লাগিয়ে সুন্দর আক্রমণ তুলে আনছিল মেক্সিকো। সেখানে পোল্যান্ডের গোলমেশিন লেওয়ানদোস্কি সেভাবে বল সাপ্লাই পেলেন না। লোজানো এবং ভেগা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে প্রথম কুড়ি মিনিটই এগিয়ে যেতে পারত মেক্সিকো। কিন্তু পোলিশ গোলরক্ষক সেজনির দক্ষতায় সেটা হয়নি। মেক্সিকোর দলের সব আছে, কিন্তু বক্সের মধ্যে ফিনিশ করার মত একজন দক্ষ স্ট্রাইকারের অভাব।
advertisement
অন্যদিকে পোল্যান্ড দলের ক্রিয়েটিভিটি বলতে সেভাবে কিছু নেই। একমাত্র অস্ত্র লেওয়ানদোস্কি। কিন্তু বিশ্বকাপে গোল করতে গেলে তাকে এসিস্ট করার মতো ফুটবলের নেই পোল্যান্ড দলে। মেক্সিকোর রাইট ব্যাক স্যঞ্চেজ ডানদিক থেকে বারবার হানা দিচ্ছিলেন পোল্যান্ডের বক্সে।
কিন্তু সেকেন্ড হাফের শুরু থেকেই কিছুটা চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে পোল্যান্ড। এমনকি ৫৭ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় তারা। মেক্সিকোর ডিফেন্ডার হেক্টর মোরেনো লেওয়ানদস্কিকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলে ভিডিও রেফারেল দেখে পেনাল্টি নির্দেশ দেন রেফারি। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান সেই ওচোয়া। শরীর বাঁদিকে ছুঁড়ে দিয়ে নিখুঁত অনুমান ক্ষমতায় বল আটকে দেন।
বুঝিয়ে দিলেন ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে পঞ্চম বিশ্বকাপেও তিনি মেক্সিকোর প্রাচীর হয়ে উঠতে পারেন। অতীতে তার হাতে আটকে গিয়েছিল নেইমারের ব্রাজিল। ৭০ মিনিটে জিমেনেজকে নিয়ে আসেন মেক্সিকোর কোচ। কিন্তু গোল তুলে নিতে ব্যর্থ মেক্সিকো। ম্যাচটা অবশেষে ড্র হয়ে গেল। তবে যোগ্যতার বিচারে হয়তো জয় প্রাপ্য ছিল মেক্সিকানদের।