শতদ্রু দত্তকে আজ, সোমবারও বিধাননগর দক্ষিণ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে ডিসি, থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসার উপস্থিত থাকবেন। গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া ভিডিও রেকর্ডিংও করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের গোটা ভিডিওগ্রাফি তদন্তকারী যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গতকাল, রবিবার তদন্তকারী কমিটি বিধাননগরে উচ্চপদস্থ আধিকারিককে বেশ কিছু অধরা প্রশ্নের গাইডলাইন দিয়েছে ৷ মূলত সেইগুলো নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে তদন্তকারী কমিটি শতদ্রু দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন– কলকাতায় সামান্য বাড়ল তাপমাত্রা, রাজ্যে বজায় থাকবে শীতের আমেজ, থাকবে কুয়াশার দাপটও !
সল্টলেক স্টেডিয়ামে বাকেট চেয়ার বসেছিল ১৯৮৭ সালে সাফ গেমসের সময় গ্যালারির একটা অংশে। ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সময় গোটা স্টেডিয়ামে যখন বাকেট চেয়ার বসেছিল তখন দর্শকাসন ১ লাখ ২০ হাজার থেকে কমে ৮০ হাজারে নেমে গিয়েছিল। তবে সাধারণ ম্যাচের ক্ষেত্রে ৬৭ হাজার টিকিট দেওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ম্যাচ হলে ৬০ থেকে ৬৩ হাজার টিকিট দেওয়া হয়।
১৯৮৮ সালে কলকাতা লিগের ডার্বিতে ঝামেলা হয়। তখন বাকেট চেয়ার ছুঁড়ে মাঠে ফেলে দিয়েছিলেন দর্শকরা। রেফারি প্রদীপ নাগ মোহনবাগান ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে লাল কার্ড দেখান, সেই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। কলকাতা লিগের ডার্বিতে মোহনবাগান ২-১ গোলে হেরে যায়। এরপর বাকেট চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। চেয়ার ভাঙচুর করার পরে তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে বাকেট চেয়ার তুলে দিয়েছিলেন। ভিআইপির কিছুটা অংশে বাকেট চেয়ারে রেখে দিয়েছিলেন এবং বাকি অংশে বাকেট চেয়ার তুলে দিয়েছিলেন ৷ তারপর ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সময় যুবভারতী সংস্কারের সময় ফের বাকেট চেয়ার বসানো হয় গোটা যুবভারতীতে। প্রাথমিক অনুমান মেসি ইভেন্টের দিন গ্যালারিতে ৫০ হাজারের বেশি দর্শক ছিলেন। যদি টিকিট বিক্রি হয় প্রায় ৩৫ হাজার তাহলে বাকি ১৫ হাজার কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেওয়া হয়েছে। কত পরিমাণ কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেওয়া হয়েছে তার কোনও হিসেব নেই বলেই খবর। এদিকে শতদ্রুর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আধিকারিক-সহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে বিধাননগর পুলিশ । আগামিকাল, মঙ্গলবার ডাকা হয়েছে তাঁদের।
