দুই প্রধানের তরফেই তাদের সদস্যদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে তা নিয়েও যথেষ্ট অসন্তোষ দুই শিবিরের সমর্থকদের মধ্যেই। শনিবার সকাল থেকেই শহর কলকাতা ছিল বৃষ্টিস্নাত। তার মধ্যেও বাঙাল-ঘটি নির্বিশেষে দুই শিবিরের ফুটবলপ্রেমীরাই ভিড় জমিয়েছিলেন ময়দানের দুই তাঁবুর সামনে।
আরও পড়ুন- East Bengal : প্রবল বৃষ্টিতে ডার্বির আগের দিন অনুশীলন বাতিল ইস্টবেঙ্গলের, মেজাজ বিগড়ে গেল কোচের
advertisement
যে অনলাইন পোর্টালে টিকিট বিক্রি হচ্ছিল সেখানেও প্রায় কুড়ি মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে সমস্ত টিকিট। কার্যত বাধ্য হয়েই অফলাইন টিকিটের ওপর নির্ভর করে ময়দানে দুই তাঁবুর সামনে ভিড় জমান ২ শিবিরের সমর্থকরা।
সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ক্লাব কর্তৃপক্ষদের তরফে কোনওরকম উত্তর পাওয়া যায়নি, আদৌ টিকিট দেওয়া হবে কিনা! কিংবা দেওয়া হলেও কটা থেকে দেওয়া হবে, সেই বিষয়েও স্পষ্ট কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি সমর্থকদের।
লাল হলুদ শিবিরের সমর্থকদের দাবি দুপুর ১২ টার পরে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় যে দুপুর দুটোর পর থেকে দেওয়া হবে একটি করে টিকিট। যাঁদের কাছে মেম্বারশিপ কার্ড রয়েছে তাঁরাই শুধুমাত্র কার্ড পিছু একটি করে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন তাঁবু থেকে।
একাধিক টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন না কেউই। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে এই বিজ্ঞপ্তি দেখে স্বভাবতই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। দুপুরের প্রবল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও তাঁরা টিকিট না পেয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
একই ছবি পড়শী মোহনবাগান ক্লাবেও। কেন টিকিট নেই, সেই উত্তর পাওয়া যায়নি কারোর কাছ থেকেই। পাশাপাশি চোখে পড়েছে ব্ল্যাকারদের দাপট। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা সমর্থকদের কোন কোন ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই ৫০ টাকার টিকিট কিনতে হয়েছে ৫০০ টাকায়।
আরও পড়ুন- এই প্রথম, রোববার ভারত-পাক ম্যাচের 'রিমোট' এক বাংলাদেশীর হাতে!
অনেককেই ফিরে যেতে হয়েছে টিকিট না পেয়ে। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, মাঠে যেতে না পারলেও সন্ধ্যেবেলা নিউজ 18 বাংলার পর্দাতেই তাঁরা দেখবেন এই ডার্বি, বাঙালির বড় ম্যাচ।
সাহ্নিক ঘোষ