দ্বিতীয় দিনের শেষে
#বেঙ্গালুরু: বুধবার সকালে মধ্যপ্রদেশের ৪ উইকেট তুলে নিতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি বাংলা ক্রিকেট দলকে। মুকেশ কুমার দুরন্ত বল করেন। সুইং এবং পেস দুটোই পাওয়া গেল বাংলার বোলারদের বলে। মনে হয়েছিল ব্যাট করতে নেমে বোধহয় দাদাগিরি করবে বাংলা। কিন্তু সেটা হল না। উল্টে এতটা লজ্জা অপেক্ষা করে আছে বাংলার ব্যাটিংয়ের জন্য ভাবা যায়নি।
advertisement
মধ্যপ্রদেশের ৩৪১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই বিপর্যয় শুরু। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নজর কাড়া স্পিনার কুমার কার্তিকেয়কে দিয়েই প্রথম ওভারে সাফল্য পেল মধ্যপ্রদেশ। এক ওভারে কোনও রান না করেই ফিরে গেলেন অভিষেক রামন এবং সুদীপ ঘরামি। ৬৮/৫ ছিল বাংলার স্কোর। ভয় লাগছিল স্কোর লাইন ১০০ পার করে কিনা।
মধ্যপ্রদেশের পুনিত দাতে, আগারওয়ালরা তখন দারুন বল করছেন। যে ব্যাটাররা অন্তত অর্ধশতরান করেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে, তারা রানই পেলেন না বুধবার। অভিষেক রামন ০, সুদীপ ঘরামি ০, অনুষ্টুপ মজুমদার ৪, অভিমন্যু ঈশ্বরন ২২ এবং অভিষেক পোড়েল ৯ রানে আউট। এই জায়গা থেকে বাংলাকে লড়াইয়ে ফিরতে সাহায্য করলেন মনোজ তিওয়ারি এবং শাহবাজ আহমেদ।
দুজনেই ধৈর্য দেখালেন। উইকেটের চরিত্র বুঝলেন। তারপর রান তোলার চেষ্টা করলেন। বোলারদের বিরুদ্ধে সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। লুজ বল পেলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন। শাহবাজ এই মুহূর্তে বাংলার ক্রাইসিস ম্যান। আইপিএল আরসিবি দলের হয়ে খেলার ফলে পরিণত বোধ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশংসা করতে হবে মনোজ তিওয়ারির।
আইপিএলে ছিলেন না। একটা সময় ফিটনেস সমস্যা ছিল। এই ম্যাচের আগে হাঁটুর চোট নিয়ে কাবু ছিলেন। কিন্তু কথায় বলে জাত কখনও মরে না। সেটাই প্রমাণ করলেন মন্ত্রী মশাই মনোজ তিওয়ারি। বাংলার ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তাতে সন্দেহ নেই।
আজ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে যে মানসিকতা দেখালেন, সেটা থেকে শেখা উচিত তরুণ ক্রিকেটারদের। কভার ড্রাইভ, স্ট্রেট ড্রাইভ, সুইপ বিভিন্ন শট খেললেন মনোজ। অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন। ডাগ আউটে তখন অরুণ লাল, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়রা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। দিনের শেষে মনোজ অপরাজিত রয়েছেন (৮৪) এবং শাহবাজ অপরাজিত (৭২)।