তিনি মনে করেন আইপিএলের দ্বিতীয় পর্যায় যেভাবে দুরন্ত কামব্যাক ঘটিয়েছিল কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজি, তাতে দীনেশ কার্তিক, শুভমন গিলরা চ্যাম্পিয়ন হলে কিছু বলার থাকত না। ধোনি মনে করেন মাঝের ফাঁকা সময়টা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়েছে কেকেআর। তার জন্য কেকেআরের ক্রিকেটার, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের প্রশংসা করেন তিনি। কিন্তু দিনের শেষে ক্রিকেটে সব সময় যোগ্য দল চ্যাম্পিয়ন হয় না।
advertisement
অধিনায়ক হিসেবে চেন্নাইকে চ্যাম্পিয়ন করতে পেরে তিনি যেমন খুশি, তেমনই আবার হলুদ জার্সি গায়ে তাকে দেখা যাবে অভয় দিয়েছেন। এবারের আইপিএলে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েছিল সিএসকে। ধারাবাহিকতার পাশাপাশি বিপক্ষ দলকে ম্যাচে কর্তৃত্ব করতে না দেওয়া লক্ষ্য ছিল তাদের। কিন্তু মাঝে টানা কয়েকটা ম্যাচ হাতছাড়া হয়। ধোনি মনে করেন চাম্পিয়ান হলেও পরবর্তীকালে উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে তাদের।
বিশেষ করে বিপক্ষে ম্যাচে একেবারেই ফেরত আসতে না দেওয়ার ব্যাপারটা আরও বেশি করে রপ্ত করতে হবে তাদের। চেন্নাই অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি বন্ধ ঘরের ভেতর টিম মিটিং বিশ্বাস করেন না। যা আলোচনা করার ক্রিকেটারদের সামনাসামনি করেন। কখনও অনুশীলন চলার সময় হাতেনাতে দেখিয়ে দেন। এতে বাড়তি চাপ অনুভূত হয় না। দুবাইতে দেখা গিয়েছে গ্যালারিতে সংখ্যায় বেশি ছিলেন চেন্নাই সর্মথকরা। কলকাতা সমর্থকদের থেকে অনেক বেশি।
মহেন্দ্র সিং ধোনি দর্শকদের ভালোবাসার কাছে কৃতজ্ঞ। স্পষ্ট জানাচ্ছেন সমর্থকদের এই ভালোবাসায় প্রত্যেক ক্রিকেটার উদ্বুদ্ধ হয়েছে। শুধু দুবাই নয়, অতীতে যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল হয়েছিল, সেখানেও প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত ছিলেন চেন্নাই সর্মথকরা। তাই এই ভালোবাসা তিনি মাথা পেতে নেবেন। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার দু প্লেসি দুর্দান্ত ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
পাশাপাশি ঋতুরাজ এবং মইন আলিও ব্যাট হাতে চেন্নাইকে বিশাল রান খাঁড়া করতে সাহায্য করেন। বোলিংয়ে প্রথমদিকে সাফল্য না পেলেও ব্রাভো এবং রবীন্দ্র জাদেজা মিলে চেপে ধরেন কেকেআর ব্যাটিংকে। ধোনি বলেন এই জায়গা থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যেমন সুখের, তেমনই ভবিষ্যতে একটা দর্শন তৈরি করা সমান গুরুত্বপূর্ণ।