ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করেন এডেন মার্ক রাম ও মিচেল মার্শ। ওপেনিং জুটিতে ৪৬ রান করে এলএসজি। মার্করাম ১৫ রান করে আউট হন। কিন্তু তারপর রীতিমত তাণ্ডব চালান মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান। দিল্লিপ বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন দুই তারকা। ৮৭ রান জুটিতে যোগ করেন দুজনে। ৩৬ বলে ৭২ রান করে আউট হন মার্শ।
advertisement
পার্টনারশিপ ভাঙতেই ম্যাচে ফেরে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে এলএসজি। নিকোলাস পুরান আউট হন ৩০ বলে ৭৫ রান করে। এরপর ঋষভ পন্থ, আয়ূষ বাদোনি, শার্দুল ঠাকুররা কেউ বড় রান পাননি। ডেভিড মিলার ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান করে এলএসজি।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ৭ রানের মধ্য়ে ৩ উইকেট পড়ে যায় দিল্লির। অক্ষর প্যাটেল ও ফাফ ডুপ্লেলি কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও বড় স্কোর করতে পারেননি। অক্ষর ২২ ও ডুপ্লেসি ২৯ রান করে আউট হন। ৬৫ রানের মধ্যে অর্ধেক দিলিলি দল সাজঘরে ফেরত চলে যায়।
আরও পড়ুনঃ KKR News: প্রথম ম্যাচের পরই নিজের দাবি জানালেন রাহানে! কী চাইলেন কেকেআর অধিনায়ক
এরপর ট্রিস্টান স্টাবস ও আশুতোষ শর্মা ৪৮ রানের পার্টনারশিপ দিল্লিকে কিছুটা অক্সিজেন দেয়। তারপর আশুতোষের সঙ্গে ভিপরাজ নিগম ঝোড়ো ৫৫ রানের পার্টনারশিপ করে দিল্লি ফ্যানেদের আশা জাগায়। কিন্তু ৩৯ রান করে আউট হন নিগম। এরপর রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন আশুতোষ। একদিকে থেকে উইকেট পড়লেও নিজের ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন। শেষ ভারের তৃতীয় বলে ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন আশুতোষ। দিল্লির ক্যাপিটালসের আইপিএল ইতিহাসে সবথেকে সফল রান চেজের রেকর্ডের কারিগর হয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন আশুতোষ।