TRENDING:

অঞ্জলিকে নিয়ে সর্দার সেজে 'রোজা' দেখতে গিয়েছিলেন সচিন ! রূপকথার মতোই তাঁদের প্রেম !

Last Updated:

বাড়িতে গিয়ে সচিনকে চকলেট দিয়েছিলেন অঞ্জলি। যা দেখে ফেলেছিলেন সচিনের মা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মুম্বই: ৪৭ বছরে সচিন। দেশ আজ মহামারীতে ধুকছে। তাই নিজের জন্মদিন এবার পালন করছেন না ক্রিকেট সম্রাট। যদি আজ লকডাউন বা করোনা না থাকতো তাহলে এই দিনে আনন্দের ঝড় উঠতো ক্রিকেট মহলে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে যাচ্ছে। মাকে প্রণাম করেই আজ দিন শুরু করেছেন সেঞ্চুরি মাস্টার।
advertisement

বাড়িতে স্ত্রী অঞ্জলি ও ছেলে মেয়েদের নিয়েই কাটছে সময়। সচীন আর অঞ্জলি দুজনেই যেন সিনেমার দুই চরিত্র। তাঁদের প্রথম দেখাটাও যে সিনেমার মতোই। কোকরানো চুলের মিষ্টি ছেলেটাকে অঞ্জলি প্রথম দেখেছিলেন মুম্বই এয়ারপোর্টে। প্রথমবার ইংল্যান্ড থেকে খেলে ফিরছিলেন সচিন। বয়স এই ১৭ বছর। আর অঞ্জলি তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন মাকে আনতে। সচিন সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার যিনি ১০০ করেছিলেন। তাই তাঁকে ততদিনে মোটামোটি সকলে চিনে ফেলেছে। অঞ্জলির বন্ধু সচিন দেখে ইশারা করে অঞ্জলিকে বলেছিলেন, 'ইনিই তো সচিন'। সচিন নামটা শুনেই অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য সচিনের পিঁছনে ছুটেছিলেন তিনি। তবে সুন্দরী এক মেয়েকে ছুটে আসতে দেখে লজ্জা পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন সচিন। সেদিন আর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। হয়নি আলাপ সারাও।

advertisement

কিন্তু অঞ্জলিও নাছোরবান্দা। তিনি সচিনের সঙ্গে কথা বলবেনই। জোগার করেছিলেন মাস্টারের ফোন নম্বর। প্রথমবার সচিনকে ফোন করে অঞ্জলি নিজের পরিচয় জানিয়ে সেদিনের এয়ারপোর্টের ঘটনা বলেন। জবাবে সচিন বলেছিলেন, 'আমি জানি। আমি তোমাকে দেখেছিলাম। তুমি অটোগ্রাফ নিতে আসছিলে।" এই থেকে শুরু আলাপ আর আড্ডার। কখন যে বন্ধু হয়ে গেলেন তাঁরা টের পাননি নিজেরাই।

advertisement

এক ইন্টারভিউতে অঞ্জলি বলেছিলেন, ফোনে কথা বলার পর সচিনের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন অঞ্জলি। কিন্তু নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছিলেন। যদিও বাড়িতে গিয়ে সচিনকে চকলেট দিয়েছিলেন তিনি। যা দেখে ফেলেছিলেন সচিনের মা। তিনি অঞ্জলিকে প্রশ্ন করেছিলেন. 'তুমি সত্যিই সাংবাদিক। এমন টুকরো টুকরো মজার ভালবাসার স্মৃতিতে ভরে রয়েছে সচিন অঞ্জলির জীবন।

advertisement

ক্রমশ জনপ্রিয় হতে থাকেন সচিন। আর অঞ্জলি পড়তে শুরু  করেন ডাক্তারি। এই সময় তাঁদের দেখা সাক্ষাৎ প্রায় হতই না। কিন্তু অঞ্জলির সঙ্গে দেখা করতে সচিন পৌঁছে যেতেন তাঁর কলেজে। সচিন তাঁর অটোবায়োগ্রাফি (Sachin Tendulkar, Playing It My Way: My Autobiography) তে লিখেছেন, "একবার আমরা সন্ধ্যে সারে আটটায় সময় দেখা করবো বলে ঠিক করেছিলাম। আমি সময় মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু অঞ্জলি বাড়ি থেকে বেরোতে পারেনি। সে সময় মোবাইল ফোন ছিল না। তাই ও আমায় ফোন করতে পারেনি। আর পাবলিক বুথ থেকে অঞ্জলিকে ফোন করতে আমি পারিনি।" সেদিন না দেখা করেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।

advertisement

সচিন তখন দাপিয়ে খেলছেন। ১৯৯২ সাল। অঞ্জলিকে নিয়ে সিনেমা দেখতে যাবেন তিনি। কিন্তু রাস্তায় বেরোলে লোকে তাঁকে চিনে ফেলবে। তাই সর্দারের সাজ নিয়েছিলেন তিনি। অঞ্জলি ও কিছু বন্ধুদের নিয়ে 'রোজা' দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইন্টারভেলের সময় সবাই সর্দার রূপী সচিনকে চিনে ফেলে। তখন বাধ্য হয়ে সিনেমা হল ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল তাঁদের।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সচিন বাড়িতে বলতে পারছিলেন না অঞ্জলির কথা। তাই এই দায়িত্ব নিতে হয়েছিল অঞ্জলিকেই। তিনি অঞ্জলিকে বলেছিলান, " পৃথিবীর সব থেকে কঠিন বল মারার থেকেও কঠিন বাড়িতে বিয়ের কথা বলা।" এর পর অঞ্জলিই কথা বাড়িয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ডে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের সম্মতিতেই। আজও এই জুটি ভালবাসায় বেধে রেখেছেন একে অপরকে।

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
অঞ্জলিকে নিয়ে সর্দার সেজে 'রোজা' দেখতে গিয়েছিলেন সচিন ! রূপকথার মতোই তাঁদের প্রেম !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল