গত তিন বছর ধরে বাংলা সিনিয়র ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন লক্ষ্মী। গত বছর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল লক্ষ্মীরতন শুক্লার। ময়দানে জল্পনা ছিল, আসন্ন সেপ্টেম্বরে সিএবির নতুন গঠিত হতে চলা পরিচালন কমিটিতে থাকতে পারেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ছে না বলেই খবর। লক্ষ্মীরতন শুক্লার কোচের দায়িত্বে পুনর্বহালের বিষয়টি সরকারিভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।
advertisement
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লার কোচিংয়ে প্রথম বছরই রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলেছিল বাংলা দল। তবে শেষ দু বছর নক আউটে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বাংলা। যদিও সেই সময় খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাংলার প্রত্যেকবারই ম্যাচ বাতিল হয়। সিএবি তরফ থেকে খবর, লক্ষ্মীর রতন শুক্লার কোচিংয়ে বাংলার ক্রিকেটে উন্নতি হচ্ছে বলেই মনে করছেন বর্তমান কর্তারা। তাই ঘরের ছেলের হাতেই বাংলা ক্রিকেট দলের দায়িত্ব রাখতে রাখতে চাইছেন তাঁরা। বর্তমানে সিএবি পরিচালিত বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগে মেদিনীপুর উইজার্ড দলের মেন্টরের ভূমিকায় রয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এই টুর্নামেন্ট শেষ হলেই আগামী মাস থেকে তিনি কাজ শুরু করবেন বলে খবর।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নতুন বছরের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। অক্টোবরের শেষ দিকে শুরু হচ্ছে রঞ্জি ট্রফি। সেই টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের পরেই হবে টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের টুর্নামেন্ট। নতুন বছরের শুরুতে শেষ হবে রঞ্জির নক আউট পর্ব।
ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ট্রফি অর্থাৎ রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা আজ পর্যন্ত দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। প্রথমবার স্বাধীনতার আগে আর শেষবার ১৯৮৯-৯০ সালে সৌরভ, সম্বরণ, অরুনলালদের হাত ধরে। আর তারপর শুধুই ব্যর্থতা।
যদিও ১৯৯০ সালের পর থেকে বেশ কয়েকবার ফাইনাল খেললেও রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সৌভাগ্য বাংলা ক্রিকেট দলের হয়নি। কেটে গিয়েছে ৩৫ বছর। লক্ষ্মীরতন শুক্লার কোচিংয়ে সেই অধরা স্বপ্নপূরণে মরিয়া বাংলার ক্রিকেট।