সোমবার সকাল থেকেই অনূর্ধ্ব ২৩ বাংলা নিয়ে অনুশীলনের নেমে পড়লেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সিএবি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করালেন নতুন কোচ। প্রথম দিনই লক্ষ্মী ফিটনেসের ওপর জোর দিলেন। পাশাপাশি নিজের কোচিংয়ের ট্রেডমার্ক স্টাইল বুঝিয়ে দিলেন। জারি করলেন তিন দফা দাওয়াই। ক্রিকেটারদের কারওর লম্বা চুল রাখা যাবে না। ছোট করে চুল কাটতে হবে। কারণ লক্ষ্মীর যুক্তি, "চুলের স্টাইল করতে গিয়ে খেলা থেকে মনসংযোগ বিচ্যুতি হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যারা ক্রিকেট খেলেন তাদের দু-একজন ছাড়া কারওর বড় চুল নেই।" দ্বিতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। সেই সময় বাঁচিয়ে ক্রিকেটাররা খেলা এবং নিজের পড়াশোনার কাজে ব্যয় করবে। তৃতীয় দাওয়াই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটারদের মধ্য অনুশীলন এবং ম্যাচের সময় বাংলায় কথা বলাটা বাধ্যতামূলক করতে হবে। লক্ষ্মী মনে করেন, "বাঙালি ছেলেদের পাশাপাশি অনেক অবাঙালি ছেলে বাংলা দলের হয়ে খেলে। কিন্তু নিজেরা হিন্দিতে কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে টিম বন্ডিং তৈরি করতে এবং দলের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়াতে গেলে বাংলাকে ভালবাসতে হবে। বাংলায় কথা বলতে হবে। যারা বাংলা বলতে পারেন না তাদের বাংলা বলা শিখতে হবে। বাংলার সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।"
advertisement
লক্ষ্মীরতন শুক্লার কোচিংয়ের অভিনবত্ব মনে করিয়ে দিচ্ছে ফুটবলের কোচ নইমুদ্দিনকে। ফুটবলারদের এভাবেই ছোট চুল রাখার পরামর্শ দিতেন তিনি। এই নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে বিতর্ক হয়েছিল নইমুদ্দিনের। তবে লক্ষ্মীরতন শুক্লার ক্ষেত্রে কোনও বিতর্ক নেই এখনও পর্যন্ত। প্রথমদিন অনূর্ধ্ব ২৩ বাংলা দলের অনুশীলনে হাজির ছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া।
লক্ষ্মীরতন শুক্লা কাউকে আলাদা করে মডেল হিসেবে দেখতে চান না । লক্ষ্মীরতন শুক্লার কথায়, ‘‘আমাদের হাতের কাছে একজনই রোল মডেল রয়েছেন । তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় । দাদির কাছ থেকে যা শিখেছি তাই বাচ্চাদের শেখাবো । আলাদা করে কাউকে রোল মডেল হিসেবে ভাবতে চাই না কোচিংয়ে । আমার নিজস্ব ভাবনা চিন্তা রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করব । ক্রিকেটারদের বলেছি আমি তাদের কাছে কোচ না দাদার মতো ।"
দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর ক্রিকেট মাঠে ফিরলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। রাজ্য ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর পর ফের ক্রিকেট মাঠে লক্ষ্মী। এবার ক্রিকেটে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন উত্তর হাওড়ার প্রাক্তন বিধায়ক। রাজনীতি থেকে আপাতত সরে এসেছেন তিনি ৷