ডানদিক থেকে রাকিবের বল সামনে একা গোলকিপারকে পেয়েও গায়ে মেরে বসেন। বাংলাদেশের এই দলটার একজন সঠিক স্ট্রাইকার থাকলে প্রথম ৪৫ মিনিটেই তারা এগিয়ে যেতে পারত। হৃদয়, সোহেল, জামালরা প্রতিটা বলের জন্যই লড়াই করছিলেন টেকনিক্যালি উন্নত কুয়েতের বিপক্ষে। কুয়েতের ১১ নম্বর জার্সি আল রশিদি দারুণ ফুটবলার। দেখার মত বল কন্ট্রোল এবং ডিস্ট্রিবিউশন।
advertisement
তিনি বল পেলেই আক্রমণ তৈরি করছিল মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। কিন্তু বাংলাদেশ ডিফেন্সে তপু বর্মন এবং বিশ্বনাথ দেখার মত লড়াই করছিলেন। ফয়সাল উঠে আসছেন দ্রুত।বাংলাদেশের ভাগ্য খারাপ। না হলে ৭ মিনিটের মাথায় যে সুযোগ পেয়েছিলেন রাকিব সেই শট ইনসাইড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তবে কুয়েত বেশ কয়েকটা আক্রমণ তৈরি করে এরপর। কিন্তু গোল আসেনি।
খেলাটা ৬৫ মিনিটের পর অনেক বেশি ওপেন হয়ে যায়। জামাল চোট পেলে তার জায়গায় নামানো হয় ফাহিমকে।বাংলাদেশ গোলরক্ষক কয়টা ক্ষেত্রে ভাল সেভ করেন। ৯০ মিনিট কুয়েতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়।
১০৬ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন কুয়েতের আব্দুল্লাহ। মাটি ঘেঁষা শটে তিনি পরাস্ত করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুরকে। লড়াই করেও সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হল বাংলাদেশকে। ফাইনালে পৌঁছে গেল কুয়েত।