সকাল থেকে সন্ধে হেঁকেই চলেছেন দোকানদাররা।
ছবিটা কাতারের নয় কলকাতার। সকলের চেনা বিধান মার্কেট। খেলোয়াড়দের প্রিয় ময়দান মার্কেট। ১০০ টাকা থেকে ১০ হাজার। S, L থেকে XL, XLL। হরেক রকম নেইমার, মেসি, রোনাল্ডো। কানাডার পতাকা থেকে ক্যামেরুনের জার্সি। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, পর্তুগাল এক মুঠোয় গোটা বিশ্ব। কাতারের বিশ্বযুদ্ধ থেকে আশার আলোয় বুক বাঁধছে কলকাতা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ট্রাইকার মানেই স্বার্থপর! অন্যের গোল নিজের বলে দাবি করে 'ভিলেন' রোনাল্ডো
বিশ্বকাপ জ্বরে কাবু বিশ্ব। মেসি, রোনাল্ডো, নেইমারদের নিয়ে উন্মাদনা চরমে। রাত জাগছে গোটা বাংলা। ১মাসের জন্য কেউ ব্রাজিল, কেউ মেসি, কেউ রোনাল্ডো কেউ আবার স্প্যানিশ। আর সমর্থন তো এমনি এমনি করা যায় না। চাই জার্সি, পতাকা। তাই ময়দান মার্কেটে দেদার বিকচ্ছে মেসি, রোনাল্ডো, নেইমারদের জার্সি। সব দেশের ফ্ল্যাগ। চলছে জার্সিতে প্রিয় ফুটবলারদের নাম নম্বর লেখানোর কাজ।
আল রিহালার রেপ্লিকা থেকে সব দেশের জার্সি, পোস্টার, পতাকা। কী নেই মার্কেটে। এশিয়ার অন্যতম ক্রীড়া সরঞ্জামের মার্কেটে পকেটের ওজন অনুযায়ী সামগ্রী। ১০ টাকা থেকে ১০ হাজার। আসল থেকে ডুপ্লিকেট। যা চাইবেন। তাই পাবেন। চার বছর পর পর হয় ফুটবলের এই মহাৎোসব। কোভিডের জেরে থমকে গিয়েছিল খেলাধুলো। থমকে গিয়েছিল ময়দান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও।
আরও পড়ুন: 'মেসিকে পায়ে এক সেকেন্ড বল রাখতে দেব না', পোল্যান্ডের ডিফেন্ডারের হুঙ্কার
তবে এই বিশ্বকাপের জেরে বেশ খানিকটা আশার আলো সবার মনে। ময়দান মার্কেটে দোকানদাররা জানাচ্ছেন, দু'বছর বাজার খুব মন্দা গিয়েছিল। করোনার কারণে বিক্রি অনেক কমে গিয়েছিল। এই বিশ্বকাপ আমাদের কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখাচ্ছে। করোনার পর মানুষ আবার খেলাধুলা নিয়ে আগ্রহী। কেনাকাটার বিচারে এগিয়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেনের জার্সি-পাতাকা।
প্লেয়ারদের মধ্যে চাহিদা বেশি মেসি আর রোনাল্ডোর। তবে বর্তমান যুব সমাজে অনেকেই স্পেন,জার্মানির ফ্যান। তাই সেই দেশের ফ্ল্যাগ এবং ফুটবলারদের জার্সির চাহিদা আছে। বিশ্বকাপ সংক্রান্ত ছোট ছোট বিভিন্ন মেমেন্টো ও এবার বিক্রি হচ্ছে। হেভিওয়েট দলগুলি যত নকআউটে উঠবে তত বিক্রি বাড়বে বলে মত দোকানদারদের।