কলকাতা লিগে এবার ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দল করেছে ভবানীপুর। মাঠের পারফরম্যান্সেও নজর কাড়ছে টুটু বসু, সৃঞ্জয় বসুদের ক্লাব। ময়দানের চেনা মুখ রঞ্জন চৌধুরীর কোচিংয়ে কলকাতা লিগে তেল খাওয়া মেশিনের মতই দৌড়াচ্ছে কিংশুক দেবনাথরা। পাঁচ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে গ্রুপ শীর্ষে ভবানীপুর। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। গ্রুপে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিনো জর্জের দল।
advertisement
শক্তিশালী ভবানীপুরের বিরুদ্ধে নামার আগে রীতিমতো বেকায়দায় ইস্টবেঙ্গল। চোট ও জ্বরে কাহিল দলের একাধিক ফুটবলার। সার্থক, অতুল, নিরঞ্জন, রাকিপ, লিজোদের ভবানীপুরের বিরুদ্ধে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরই মধ্যে আবার রিজার্ভ দলের চার ফুটবলারকে সিনিয়র দলের অনুশীলনে ডেকে নিয়েছেন চিফ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। ফলে ভবানীপুরের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নামার আগে দীপ সাহা, আমন, তন্ময় ঘোষ ও গোলরক্ষক নিশাদকে পেলেন না কোচ বিনো জর্জ।
আরও পড়ুন-বাজেট ছিল মাত্র আড়াই কোটি; চার গুণ বেশি আয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই বাঙালি অভিনেতার ছবি!
ভবানীপুর ম্যাচের আগে বিনো বলছিলেন, ‘‘আই লিগের মানে দল করেছে ভবানীপুর। তাই ভবানীপুরের বিরুদ্ধে খেলাটা সবসময়েই চ্যালেঞ্জের। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে তিন পয়েন্ট।’’ ভবানীপুরের কোচ রঞ্জন চৌধুরী একটা সময়ে সহকারী কোচ ছিলেন লাল হলুদের। সেই অর্থে ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে রঞ্জন। লাল হলুদের বিরুদ্ধে নামার আগে কোচ রঞ্জন চৌধুরী গলাতে সমীহের সুর। বলছিলেন, ‘‘কে নেই, কে আছে সেটা বড় কথা নয়! প্রতিপক্ষ লাল হলুদ জার্সি! আর ওই জার্সির ওজন কে না জানে! নিজেদের মাঠে দর্শক ভর্তি গ্যালারির সামনে খেলার অ্যাডভান্টেজ তো রয়েছেই ওদের। ভুলে গেলে চলবে না শেষ দুটো ম্যাচে ৫ গোল করে করেছে দীপ, অভিষেক, আমনরা।’’