তবে শহরে এসে মুখে কুলুপ রাহুলের। ভারতীয় জার্সিতে সদ্য নিউজিল্যন্ড সিরিজে সাদা বলে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শুধু ব্যাটিং নন। উইকেটকিপার হিসেবেও কেএল রাহুল বিরাটকে ভরসা দিয়েছেন। তবে কর্ণাটকের হয়ে উইকেটকিপিং করবেন না রাহুল। এদিকে লক্ষ্মীবারে রঞ্জি সেমিফাইনালের মহড়া শুরু বাংলার। ইডেনে ঘন্টা তিনেকের অনুশীলন। তবে বিপক্ষ কর্ণাটকের থেকেও বাংলা শিবিরের দুশ্চিন্তা ডিআরএস। প্রথমবার রঞ্জি ট্রফিতে চালু হচ্ছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতো হটস্পট, স্নিকোমিটার, বল ট্র্যাকার থাকছে না রঞ্জির ডিআরএসে। শুধুমাত্র এলবিডব্লিউ আউটের ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে ডিআরএস। তাও আংশিক। বাংলার দুই একজন ক্রিকেটার ছাড়া কেউই ডিআরএসের সঙ্গে পরিচিত নন। আংশিক ডিআরএস সিস্টেম নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন মনোজ, অভিমুন্যরাও। মনোজ জানান,‘ডিআরএসে কী থাকছে জানিনা। দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বড়মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।’
advertisement
আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতি ইনিংসে দুটি ডিআরএস থাকলেও রঞ্জিত প্রতি ইনিংসে থাকবে চারটি ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। ডিআরএসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে বোলার ও উইকেট কিপারের। বাংলার উইকেটরক্ষক শ্রীবৎস গোস্বামীর মতে চালু করলে পুরো সিস্টেমটাই চালু করা উচিত। শ্রীবৎ জানান,‘ডিআরএস নিয়ে আমরা বিভ্রান্তিতে আছি। তবে চেষ্টা করব দলকে সাহায্য করতে।’ এদিকে ইডেনের উইকেট দেখে খুশি বাংলা শিবির। দফায় দফায় উইকেট পরীক্ষা করেন বাংলার ক্রিকেটার। কে এল রাহুলের বিরুদ্ধে তিন পেসার নিশ্চিত। তবে দুই স্পিনার নাকি অতিরিক্ত একজন ব্যাটসম্যান খেলানো হবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। সেক্ষেত্রে অর্ণব নন্দীর জায়গায় সুদীপ চট্টোপাধ্যায় খেলতে পারেন। ডিআরএস ইস্যু বাদ দিলে কর্ণাটক ম্যাচের মহড়ায় বাংলা শিবিরে ফিল গুড ফ্যাক্টর। তবে লক্ষ্মীবারের অনুশীলনে তালকাটে একবারই। নেটে ব্যাট করা নিয়ে মেজাজ হারান মনোজ। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি মিটে যায়।
EERON ROY BARMAN