টস হারার পর ইনিসের শুরুটা ভাল হয়নি কেকেআরের। ৪ রান করে আউট হন কুইন্টন ডিকক। এরপর কেকেআরের ইনিংসের রাশ ধরেন অধিনায়ক অজিঙ্কে রাহানে ও সুনীল নারিন। বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন রাহানে। মারকাটারি ব্যাটিং করেন নারিনও। রাহানে-নারিন জুটি শতরানের পার্টনারশিপও করেন। ২৫ বলে নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূরণ করেন কেকেআর অধিনায়ক।
কিন্তু ২৬ বলে ৪৪ করে আউট হন নারিন। জুটি ভাঙতেই বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেনি রাহানেও। ৩১ বলে ৫৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর কেকেআরের মিডল অর্ডার পুরো ব্যর্থ হয়। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৬, রিঙ্কু সিং ১২, আন্দ্রে রাসেল ৪ করে আউট হন। ১০৭ রানে ১ উইকেট থেকে ১৫০ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায় কেকেআরের। কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন আংক্রিশ রঘুবংশী। ৩০ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে নাইটরা। আরসিবির টার্গেট ১৭৫।
advertisement
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করেন আরসিবির দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি। গতবার কেকেআরে যে ফর্মে খেলেছিলেন সল্ট, এবার আরসিবির হয়েও সেই ছন্দেই পাওয়া যায় তাঁকে। ৬ ওভারেই ৮০-র বেশি রান করে ফেলে আরসিবি। কেকেআর বোলারদের তুলোধনা করেন সল্ট ও বিরাট। ৩১ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সল্ট। এরপর দেবদূত পাড়িক্কল আসলেও ১০ রান করে আউট হন তিনি।
অপরদিকে, নিজের ৪০০ তম টি-২০ ম্যাচে ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। অধিনায়ক রজত পাতিদারও উইকেটে এসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন। ১৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন। শেষ পর্যন্ত ২২ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় আরসিবি। ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে বেঙ্গালুরু। ৩৬ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। ৫ বলে ১৫ করে অপরাজিত থাকেন লিয়াম লিভিংস্টোন।