বিকেল থেকেই আকাশের মুখ ভার! গোষ্ঠ পাল সরণিতে দাঁড়িয়ে বছর কুড়ির এক ক্রিকেটপ্রেমী বন্ধুকে বলল, চল বাড়ি ফিরে যাই। মনে হয় না আর কেকেআরের অনুশীলন হবে। তাঁর কথা শেষ হওয়ার আগেই ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি।
সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। ইডেনের সবুজ গালিচা ঢাকতে রীতিমতো তখন হিমশিম অবস্থা মাঠ কর্মীদের। প্রধান গেটে নাইটদের টিম বাস এসে দাঁড়াল। ঘড়িতে তখন পৌনে ছ’টা। ছাতা মাথায় ড্রেসিংরুমের দিকে গেলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। তিনি ভেবেছিলেন ঝড়-বৃষ্টি থামলে প্র্যাকটিস শুরু করে দেবেন। সেই মতো বাস থেকে নামার নির্দেশ দেন প্লেয়ারদের।
advertisement
কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে অনুশীলন না করেই হোটেলে ফিরে যেতে হয় নীতীশদের। অনেকেই প্রিয় ক্রিকেটারদের দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন ক্লাব হাউসের সামনে। বৃষ্টির মধ্যেও উঠলকেকেআর…কেকেআর’…জয়োধ্বনি। নাইটদের সমর্থন যে এখনও অটুট, তা টের পাওয়া গেল ভালো মতোই। বৃহস্পতিবার ছিল ডেভিড উইজার জন্মদিন।
ড্রেসিংরুমে কাটা হল কেক। বেশ কিছুক্ষণ চলল টিম মিটিংও। শনিবার লখনউকে যে হারাতেই হবে। না হলে সব শেষ। তবে নাইট ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ বেশ আশাবাদী। তিনি বললেন, লখনউয়ের বিরুদ্ধে জান লড়িয়ে দেব। ম্যাচটা বড় ব্যবধানে জিতে প্লে-অফে ওঠাই আমাদের লক্ষ্য। পরক্ষণেই তাঁর গলায় ঝরে পড়ল আক্ষেপ। আমরা আরও ভালো পজিশনে থাকতাম, কিন্তু সামান্য ভুলে বেশ কিছু ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে।
ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি। বলছিলেন গুরবাজ। এদিকে চলতি আসরে লখনউয়ের বিরুদ্ধে প্রথমবার মুখোমুখি হবে কেকেআর। প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে গুরবাজের মন্তব্য, লখনউ শক্তিশালী দল। আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। দুই শিবিরেই রয়েছে একাধিক ম্যাচ উইনার। তবে স্বদেশীয় নবীন-উল-হকের সঙ্গে লড়াইটা উপভোগ করতে চাই। ও আমাকে মজার ছলে আউট করার হুমকি দিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ লুফে নিয়েছি। ইচ্ছা আছে ওকে কয়েকটা ছক্কা উপহার দেওয়া। এদিকে বিশাল সংখ্যক মোহনবাগান সমর্থকদের সমর্থন পাবে লখনউ।