নেতৃত্ব: নির্দেশহীনতার ছাপ স্পষ্ট
শ্রেয়স আইয়ারের অনুপস্থিতি শুধু একটি নাম বাদ যাওয়া নয়, বরং একটি দৃষ্টিভঙ্গির অনুপস্থিতি। একজন স্মার্ট এবং ধৈর্যশীল অধিনায়ক হিসেবে তিনি চাপের মুখে দলকে স্থির রাখতে পারতেন। আইয়ার মাঠে শুধু ফিল্ড সেট করতেন না, ম্যাচ পড়ার অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে বোলারদের মাইক্রো-ম্যানেজও করতেন।
অজিঙ্কা রাহানে শ্রেয়সের স্থলাভিষিক্ত হলেও, যেন ভিন্ন মেজাজের খেলোয়াড়। তার ক্যাপ্টেনসিতে সেফ অপশন বেছে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সেটআপ, সময়মতো বোলার পরিবর্তন না করা, এবং ব্যাটিং অর্ডারে আগ্রাসী পদক্ষেপের অভাব। ফলে কেকেআরের আগ্রাসী ব্র্যান্ড অফ ক্রিকেট পুরোপুরি স্তিমিত।
advertisement
ব্যাটিং লাইনআপ:
আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যানদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কেকেআর পুরোপুরি সেই আগ্রাসন দেখাতে পারছে না। এর কারণ হলো অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
ব্যাটিং অর্ডারে স্থায়িত্ব নেই: কখনও রাসেলকে প্রমোট করা, কখনও রিঙ্কু সিং-কে নিচে নামিয়ে দেওয়া, আবার কখনও নারাইনকে আবারও ওপেনিংয়ে পাঠানোর ঝুঁকি নেওয়া—এগুলো দলের মধ্যে অনিশ্চয়তা ছড়াচ্ছে।
মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞতার ঘাটতি: আইয়ারের শূন্যতা এখানে স্পষ্ট। ইনিংস গঠন করার কেউ নেই। কেউই ধারাবাহিকভাবে রান পাচ্ছে না। ম্যাচ টেনে নিয়ে যাওয়ার লোকের অভাব।
কুইন্টন ডি ককের অনিয়মিত ব্যবহার: একজন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হওয়া সত্ত্বেও তার জায়গা দলে নিশ্চিত নয়, যা কৌশলগতভাবে বড় ক্ষতি। ডিককের বদলে গুরবাজ খেলালেও তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন।
কোচিং ও কৌশলগত দিক: গম্ভীরের অভাব প্রকট
গৌতম গম্ভীরের উপস্থিতি কেবল কৌশলগত নির্দেশনা নয়, মানসিক লড়াইতেও বড় পার্থক্য গড়ে দিত। তিনি ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এখন সেই জায়গায় যে কেউ রয়েছেন, তার প্রভাব স্পষ্ট নয়।
বোলিং রোটেশন অগোছালো: স্পিনারদের ব্যবহার অনিয়মিত। কেকেআরের শক্তি যেখানে স্পিন, সেখানে পেসের উপর অতি নির্ভরতা দেখা যাচ্ছে।
আসল মুহূর্তে সিদ্ধান্তহীনতা: DRS নেওয়া, বোলিং ফিল্ড সেট, ম্যাচের গতি বুঝে রোল বদলানো—সব কিছুতেই দেরি হচ্ছে এবার নাইট শিবিরে।
আরও পড়ুনঃ KKR News: এবার কি কেকেআরের অন্দরে অশান্তি! কেন ম্যাচ হারছে কলকাতা? জানা গেল আসল কারণ
দলের মনোভাবে দিশাহীনতা: একবার দেখা যাচ্ছে দলে ‘দিলখোলা’ ক্রিকেট, আবার পরের ম্যাচেই রক্ষণাত্মক শরীরী ভাষা। এই অসঙ্গতি বলছে, দলের মধ্যে কোনো সুসংগঠিত পরিকল্পনা নেই।