ম্যাচে টস জিতে প্রথনে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। শুরুটা ভাল হয়নি কলকাতার। নারিন দ্রুত ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ভিত গড়ে দেন অজিঙ্কে রাহানে ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। গুরবাজ ৩৫ রান করে আউট হলেো দলকে টানেন রহানে ও রঘুবংশী। ব্যক্তিগত ৩০ রান করে আউট হন কেকেআর অধিনায়ক। এরপর ক্রিজে আসেন আন্দ্রে রাসেল। প্রথমে একটি স্লো খেললেও সেট হতেই রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন দ্রে রাস।
advertisement
আংক্রিস রঘুবংশীর সঙ্গে ঝড়ে গতিতে ৫০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন রাসেল। দলের ১৭২ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে কেকেআরের। ৪৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হন আংক্রিশ রঘুবংশী। অপরদিকে, নিজের মাসেল পাওয়ার দেখাতে থাকেন আন্দ্রে রাসেল। একের পর এক বিধ্বংসী শট খেলে মাত্র ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। শেষের দিকে ৬ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন রিঙ্কু সিং। ২৫ বলে ৫৭ করেন রাসেল।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের। শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে রয়্যালসরা। যশস্বী জয়সওয়াল ৩৪ রানের ইনিংস খেললেও একটা সময় রাজস্থানের স্কোর দাঁড়ায় ৭১ রানে ৫ উইকেট। সেই সময় মনে হয়েছিল কেকেআর ব়ড় ব্যবধানে জিততে চলেছে ম্যাচ। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক রিয়ান পরাগে ইচ্ছে ছিল অন্যরকম।
শিমরম হেটমায়ারকে সঙ্গে নিয়ে কার্যত একার হাতে দলকে টানেন তিনি। বিধ্বংসী ব্যাটিং করে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। মইন আলির এক ওভারে ৫টি ছয় মেরে কার্যত ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছিলেন রিয়ান। শিমরন হেটমায়ারের সঙ্গে ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজনে। স্লগ ওভারে দুজনকেই আউট করে কেকেআরকে ম্যাচে ফেরান হর্ষিত রানা। ৪৫ বলে ৯৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হন রিয়ান পরাগ।
চাপের মধ্যে দলকে টানেন শুভম দুবে ও জোফ্রা আর্চার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ছিল ২২ রান। বৈভব অরোরা ওভারে দুরন্ত ব্যাটং করেন শুভম দুবে। ২টি ছয় ও একটি চার মেরে দেন। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩ রান। ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন আর্চার। ১ রানের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতে কেকেআর। কেকেআরের ২টি করে উইকেট পান বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা ও মইন আলি। একিট উইকেট নেন বৈভব অরোরা।