আসলে শাহরুখ খানের দলের দক্ষিণ ভারতীয় কর্তা অত্যন্ত চতুর এবং নিম্ন মানসিকতার। ক্রিকেটের কিছুই বোঝেন না, অথচ দেখান যেন সবকিছু জানেন। চাকরি বাঁচাতে তাকে চটাতে পারেন না দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা টেকনিক্যাল লোকজন। যে কেকেআর দলে চার বছর থেকে ৫৮ টা ম্যাচ খেলে বিদায় নিতে হয় শুভমন গিলকে সেই দলের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কম কথা বলাই ভাল।
advertisement
একই কথা প্রযোজ্য সূর্য কুমার যাদবের ক্ষেত্রে। তিনিও কেকেআর দলে ছিলেন। এটা ঠিক এখন এই দুজন ব্যাটসম্যান যেমন ছন্দে রয়েছেন তেমনটা কেকেআর জার্সিতে ছিলেন না তারা। কিন্তু একজন ক্রিকেটারকে মানসিকভাবে সঠিক জায়গায় রাখতে ম্যানেজমেন্ট এর কর্তব্য আছে। সেটা গুজরাত দেখাতে পেরেছে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পারে। কিন্তু কেকেআর পারে না।
বছরের পর বছর চরম ব্যর্থ আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারিনকে তারা রেখে দিতে পারে। কিন্তু তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের রাখতে পারে না। কেকেআর সমর্থকরা দুঃখ করছেন আজ যদি তাদের দলে গিল অথবা সূর্য থাকতেন, ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করতে হত না। কিন্তু কেকেআর ম্যানেজমেন্টের দৃষ্টিভঙ্গিটাই নেই একেবারে। শাহরুখ সারা বছর ক্রিকেট দলকে সময় দেওয়ার সময় বের করতে পারেন না।
জুহি চাওলা এবং তার ব্যবসায়ী স্বামী সখের ক্রিকেট দেখতে আসেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। আট বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না কেকেআর। চরম ব্যর্থতা ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে? বেকার কলকাতার নাম খারাপ করছে তারা। না আছে ক্রিকেটার চেনার ক্ষমতা, না আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইচ্ছে। শুধু গুনে গুনে টাকা নিয়ে যাওয়া একমাত্র লক্ষ্য। সেটাই কারণ হয়তো এখন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে কেকেআর নিয়ে পাগলামি কমে গিয়েছে।