পুরনো টুইট। কিন্তু তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক হওয়ারই কথা। ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ও দলের আরেক তারকা জস বাটলার সেই টুইটগুলোতে বারবার ভারতীয়দের ব্যঙ্গ করেছেন। তাঁরা নিজেদের টুইটগুলি ভুল ইংরেজিতে লিখেছিলেন। তাছাড়া সেই টুইটগুলিতে বারবার স্যর শব্দটির প্রয়োগ করেছিলেন তাঁরা। ভারতীয়রা স্যর শব্দটির প্রয়োগ করে বেশি! যে কোনো সম্মানজনক ব্যক্তিকেই স্যর বলা হয়ে থাকে! এমন দাবি নিয়েই মূলত ব্যঙ্গ করতে চেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের দুই তারকা। তাছাড়া ভুল ইংরেজি লিখে তাঁরা ভারতীয় সমর্থকদের নিয়ে নিজেদের মধ্যে মজা করার চেষ্টা করেছিলেন। এই নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ইসিবি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড দুই তারকার টুইটগুলি বিদ্বেষমূলক কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
advertisement
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের ওপেনার অ্যালেক্স হেলস সেঞ্চুরি করেছিলেন একটি ম্যাচে। তার পরই বাটলার ভুল ইংরেজিতে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন। সেখানে সেঞ্চুরিকে ইচ্ছে করেই ডাবল সেঞ্চুরি বলে উল্লেখ করা হয়। তাঁরা ইংরেজ। ইংরেজি ভুল লেখেন কী করে! প্রশ্ন উঠছে। জশ বাটলার ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম একের পর এক টুইটে ইংরেজিতে ব্যাকরণগত ভুল করেছিলেন। ইচ্ছে করেই তাঁরা ভুলভাল ইংরেজি লিখেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইয়ন মরগ্যান একই কাজ করেন। বাটলার ও ব্রেন্ডন দুজনেই আইপিএলের তারকা। তাঁরা মাঠে নামলেই সর্মথকরা হাততালি দেযন। সেই সমর্থকদের এমন ব্যঙ্গ করার অর্থ কী! বিতর্কের বাতাবরণ তৈরি হতেই পুরনো টুইট ডিলিট করেছেন বাটলার। কিন্তু তাতে রেহাই নেই। এরই মধ্যে ব্যাপারটা তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ইসিবি। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব এখন একজোট হয়ে লড়ছে। খেলার মাঠে বারবার বর্ণবিদ্বেষের ঘটনা ঘটে। বহু তারকা বিপক্ষ খেলোয়াড়দের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন। দুই ইংরেজ তারকার বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক টুইটের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের কেরিয়ার এখানেই শেষ হতে পারে।