রয়, গুরবাজ, ভেঙ্কটেশ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিভাবে অধিনায়ক রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে রিঙ্কু সিং ম্যাচটা বের করে আনেন সেটা দেখেছেন সবাই। আবার একটা হাফসেঞ্চুরি। আবার একটা লড়াকু ইনিংস। রিঙ্কু ম্যাচের পর ম্যাচ নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। কেউ কেউ তো তাকে ভবিষ্যতের ভারতীয় দলে দেখতে পাচ্ছেন।
এখুনি না হলেও আগামী ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে রিঙ্কুকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কঠিন পরিস্থিতিতে নেমে যেভাবে ম্যাচ ফিনিশ করার দায়িত্ব পালন করছেন উত্তরপ্রদেশের ব্যাটসম্যান সেটা মোটেই সহজ কথা নয়। চেন্নাইকে হারিয়ে রিঙ্কু জানিয়ে দিলেন, যখন ব্যাট করতে আসেন তখন ঠিক করে ফেলেন আগে কয়েকটা বল খেলে উইকেটের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেবেন।
advertisement
তারপর পরিস্থিতি বুঝে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করবেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫ নম্বরে ব্যাট করেন, ফলে এই পজিশনে খুব একটা অসুবিধা হয় না তার। ম্যাচ প্র্যাকটিস করার সময় এমন পরিস্থিতির অঙ্ক মাথায় রেখেই খেলেন। পিটারসেন, বিশপদের মতো প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা রিঙ্কুর মানসিকতার প্রশংসা করছেন।
ছেলেটার সাহস আছে এবং দক্ষতা আছে মানছেন তারা। এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের উচিত রিঙ্কুকে ভারতীয় এ দলে নেওয়া এবং কয়েকটা বিদেশ সফরে পাঠানো। তাতে আরও বেশি কমপ্লিট ক্রিকেটার হয়ে উঠবে রিঙ্কু। ভবিষ্যতে ভারতের হয়ে ফিনিশার হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে কলকাতার ক্রিকেটারটি।
তবে রিঙ্কু এই মুহূর্তে শুধু কেকেআর নিয়ে ভাবতে চান। জানেন আশা হয়তো খুব বেশি নেই। জিতলেও হবে না। অন্য দলের ওপর নির্ভর করে থাকতে হবে। তবু ও স্বপ্ন দেখতে চান রিঙ্কু। এবারের আইপিএলে তিনি কেকেআরের সেরা আবিষ্কার।