নিউজিল্যান্ড দলে পেস আক্রমণে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফক্স এবং ব্লেয়ার টিকনারকে দলে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে টিকনার ২০২৩ সালের পর প্রথমবার টেস্টে ফিরছেন এবং সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নির্বাচকদের নজর কেড়েছিল। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফক্স ও ডাফির অবদানও নতুনভাবে তাদের দলে ফিরিয়ে এনেছে। পেস বোলিং ইউনিটে তাদের সঙ্গী হবেন ম্যাট হেনরি এবং নাথান স্মিথ।
advertisement
দলে ফেরার দৌড়ে জয়ী হয়েছেন অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে গ্রোইন ইনজুরিতে পড়লেও তিনি পুরোপুরি ফিট হয়ে ফিরেছেন। অন্যদিকে ম্যাচ ফিটনেসের কারণে কাইল জ্যামিসন ও গ্লেন ফিলিপসকে রাখা হয়নি, কারণ তারা বর্তমানে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের আওতায় আলাদা প্রস্তুতিতে রয়েছেন। এছাড়া ইনজুরির কারণে ম্যাট ফিশার, উইল ও’রুক এবং বেন সিয়ার্সকে দল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে।
উইলিয়ামসনের প্রত্যাবর্তনকে নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ রব ওয়াল্টার বিশেষভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে, উইলিয়ামসনের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব ও স্কিলস টেস্ট দলে অসাধারণ অবদান রাখবে। ওয়াল্টার জানান, উইলিয়ামসন প্রথম টেস্টের আগে প্লাঙ্কেট শিল্ডে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে খেলে নিজের প্রস্তুতি আরও মজবুত করতে উন্মুখ।
আরও পড়ুনঃ IND vs SA: গুয়াহাটিতে ভারতের ব্যাটিং ভরাডুবি! দ্বিতীয় টেস্টেও কোণঠাসা টিম ইন্ডিয়া
এই সিরিজটি নিউজিল্যান্ডের জন্য ২০২৫–২০২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে পাঁচ পরাজয়ের পর নতুন চক্রে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ ডিসেম্বর প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ১০ ডিসেম্বর ওয়েলিংটনে এবং তৃতীয়টি ১৮ ডিসেম্বর টাউরাঙ্গার বে ওভালে অনুষ্ঠিত হবে। দু’দলের লড়াইয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা পাচ্ছেন বছরের শেষভাগে এক উত্তেজনাপূর্ণ টেস্ট সিরিজের প্রতিশ্রুতি।
