দায়িত্ব নিয়েই নিজের দলের ম্যাচ-উইনার হিসেবে অশ্বিনকে চিহ্নিত করে ফেলেছেন কুম্বলে। কারণ, তিনি জানেন দেশে হোক বা বিদেশে, কোহলিদের টেস্ট জিততে হলে তুলতেই হবে বিপক্ষের ২০টা উইকেট। যেখানে অশ্বিনই সেরা বাজি। তামিল অফ-স্পিনারও আপাতত কোচ কুম্বলেতে মুগ্ধ। ক্যারিবিয়ান সফরে পা রেখেই বলেছেন, একজন বোলারের মানসিকতা আর সমস্যা কুম্বলের চেয়ে ভাল কেউই বোঝেন না। তবে ক্রিকেটার বা উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা প্রবলভাবে তাঁকে চাইলেও অনুরাগের বোর্ড কুম্বলেকে মাত্র ১ বছর সময় দিয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এক্সটেনশন মিলবে কী না, তা নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর উপর। সামনে একগাদা ক্রিকেট। যার মধ্যে সাত মাসেই থাকছে লাগাতার ১৩টা টেস্ট। ক্যারিবিয়ান সফরে শুরুতেই বিদেশের কন্ডিশনে লিটমাস টেস্ট। সিরিজে থাকছে চারটে টেস্ট ম্যাচ।
advertisement
এরপর দেশে ফিরেই সেপ্টেম্বরে কুম্বলে-কোহলির ভারতের পাতে পড়বে কিউই কারি। ৩ টেস্টের সিরিজ। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা অন্যত্র। ঘরের মাঠে টার্নার বানিয়ে শেষ সিরিজে আমলাদের কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন কোহলি-শাস্ত্রী। কিন্তু কুম্বলে কী সেই সুযোগ পাবেন? ভুললে চলবে না স্যান্টনার-ম্যাকালাম-সোধিরাও ঘূর্ণি উইকেটে বিপজ্জনক।
নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হতে না হতেই হাজির হবেন ইংরেজরা। নভেম্বরের সিরিজে বহু যুগ পর ৫ টেস্টের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে মুখোমুখি হবেন কোহলি-কুকরা। শেষ ভারত সফরে ধোনিদের হাত থেকে সিরিজ ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন-ফিনরা। টেস্ট ক্রিকেটে বরাবরই ইংল্যান্ড শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। হাতে আছে নির্ভরযোগ্য পেস-অ্যাটাক। সঙ্গে মইন আলির মত স্পিনার। ইংল্যান্ড সিরিজে আবার একটি দিন-রাতের টেস্ট হলে সম্পূর্ণ নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে টিম ইন্ডিয়াকে।
২০১৭-র গোড়াতেই অপেক্ষা করে থাকবে অজি চ্যালেঞ্জ। স্মিথদের দলে প্রতিভার ছড়াছড়ি। আর অজিরা যে জেতার জন্য ক্রিকেটীয় স্পিরিটের তোয়াক্কা করে না, এটা অধিনায়ক কুম্বলের থেকে ভাল কেউ জানে না। সিরিজে থাকছে হাড্ডাহাড্ডি চারটে টেস্ট।
এছাড়াও ১১ মাসের নন-স্টপ ক্রিকেট বুফে-তে থাকছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টের সিরিজ। ওয়ান-ডে ক্রিকেটের প্রথম চ্যালেঞ্জ আসবে শেষ অ্যাসাইনমেন্টে। যখন বিলেতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে রওনা দেবে কুম্বলের ভারত। তবে তার আগেই হয়তো লেখা হয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়ার হটসিটে কোচ কুম্বলের ভবিতব্য। তাই আস্কিং রেট হাই। টার্গেট অসম্ভব না হলেও রীতিমত কঠিন।