ভাল খেলার পুরস্কার পেয়েছেন বাটলার। আইপিএল জিততে না পারলেও ছ’টি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে এক মরসুমে কোনও ক্রিকেটার এত পুরস্কার জেতেননি। পুরস্কার বাবদ মোট ৬০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন বাটলার। এক মরসুমে চারটি শতরান ও চারটি অর্ধশতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। গড় ৫৭.৫৩। স্ট্রাইক রেট ১৪৯.০৫।
advertisement
সব থেকে বেশি চার-ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। ২০১৬ সালে সব থেকে বেশি রান করেও যেমন হারতে হয়েছিল কোহলিকে, সেই একই ছবি দেখা গিয়েছে বাটলারের ক্ষেত্রেও। পরাজিত নায়কের তকমা নিয়েই থাকতে হয়েছে তাঁকে। পরিসংখ্যান বলছে, আইপিএলের ইতিহাসে এক মরসুমে সব থেকে বেশি রানের তালিকায় বিরাট কোহলির পরেই রয়েছে জস বাটলারের নাম।
কিন্তু যেটা বলছে না, সেটা হল একটা দলকে কীভাবে একার কাঁধে ফাইনালে তুলেছেন তিনি। কোহলির সঙ্গে এক জন এবি ডিভিলিয়ার্স ছিলেন। বাটলারের পরে রাজস্থানের ব্যাটারদের মধ্যে রানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। রানের তফাত ৪০৫। এই পরিসংখ্যান থেকেই সবটা পরিষ্কার।
কমলা টুপি থেকে শুরু করে পেয়েছেন সবচেয়ে দামি প্লেয়ার এর খেতাব, সবচেয়ে বেশি ছয় মারার পুরস্কার, সেরা পাওয়ার প্লেয়ার পুরস্কার। তবুও মন খারাপ বাটলারের। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে উইকেট কিপারের হাতে জমা পড়েছেন। কতটা মন খারাপ বোঝা গিয়েছিল তখনই।
রাগে, দুঃখে ডাগ আউটে পৌঁছানোর আগেই হেলমেট ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। সচিন তেন্ডুলকর থেকে সুনীল গাভাসকার প্রত্যেকে দারুণ প্রশংসা করেছেন বাটলারের। আধুনিক সাদা বলের ক্রিকেটে কৃমি অন্যতম সেরা ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান তাতে সন্দেহ নেই।