মানুষের জীবনের থেকে টাকার মূল্য এখন বেশি, শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি মনে করেন তিনি। করোনার জন্য মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়েছে আইপিএল। যেমনটা মার্চ মাসে পিএসএল বন্ধ করতে হয়েছিল। তাই পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলি করাচি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সরানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিল টুর্নামেন্টের ছ'টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাঁরা পিসিবি-কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যেন পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে করা হয়। গত সপ্তাহে পিএসএল-এর ছ'টি ফ্রাঞ্চাইজির তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় পিসিবি-কে। যেখানে লেখা ছিল, পাকিস্তানে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পিএসএল-এর বাকি ম্যাচ যেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে করা হয়।
advertisement
পিসিবি এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবে বলেও জানা গিয়েছিল। ২৩ মে পিএসএলের বিভিন্ন দলে ক্রিকেটারদের যোগ দেওয়ার কথা। নিয়ম মেনে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে প্রত্যেককে। ২ জুন থেকে গ্রুপ লিগের ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা। চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৬-১৮ জুন প্লে অফের ম্যাচ হওয়ার কথা। আর ফাইনাল হওয়ার কথা ২০ জুন। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণ তীব্র আকার নিয়েছে। শেষ সাত দিনে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজারের উপর মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আংশিক লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে পিএসএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলি কোনও ভাবে ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
এর আগে ১৪টি ম্যাচ হওয়ার পর করোনার জন্য পিএসএল বন্ধ করে দিতে হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চের মধ্যে ১৪টি ম্যাচ হয়েছিল। তার পরে প্লেয়ার্স, সাপোর্ট স্টাফেরা করোনায় আক্রান্ত হতে থাকলে টুর্নামেন্টটি স্থগিত করা হয়েছিল। মিয়াঁদাদের এই বয়ানের পর পরিস্থিতি পাল্টায় কিনা সেটাই দেখার। কয়েকদিন আগে শোয়েব আখতার জানিয়েছিলেন ভারত বা পাকিস্তানের মতো দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে নিশ্ছিদ্র বায়ো বাবল তৈরি সম্ভব নয়। এখন দেখার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কোন পথে হাঁটে।