তবে এই কৌশলের একটি চ্যালেঞ্জ হলো প্রধান খেলোয়াড়দের জন্য জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়া। উদাহরণস্বরূপ, এশিয়া কাপে শিবম দুবের অন্তর্ভুক্তি অনেককে চমকে দিলেও তাঁর পার্ট-টাইম পেস বল করানোর ক্ষমতা ছিল মূল কারণ। দল নির্বাচনেও দেখা যাচ্ছে স্পেশালিস্ট বোলারের চেয়ে অলরাউন্ডার ও ব্যাটসম্যানদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। গম্ভীর ও সূর্যকুমারের অধীনে দল ৮ ব্যাটসম্যান ও ৩ মূল বোলার নিয়ে খেলছে, যেখানে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
advertisement
স্পিন বিভাগে কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তীর মধ্যে কে সুযোগ পাবেন তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। দুজনেই ভালো পারফরম্যান্স করেছেন, তবে বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় চক্রবর্তী এগিয়ে। ইংল্যান্ড সিরিজেও কুলদীপের অনুপস্থিতিতে চক্রবর্তী ও বিষ্ণোই একসঙ্গে খেলেছিলেন। এবারের এশিয়া কাপে এমন সিদ্ধান্ত আবার দেখা যেতে পারে।
পেস বিভাগে বুমরাহ ও অর্শদীপ—দুজনই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুজনকে একসঙ্গে খেলালে স্পিনারদের সংখ্যা কমে যাবে। বুমরাহ বিশ্বমানের বোলার হলেও অর্শদীপ সম্প্রতি টি-২০-তে সবচেয়ে বেশি উইকেটধারী। ফলে একজনকে বসাতে হলে সেটা হবে কঠিন সিদ্ধান্ত। হার্দিক পাণ্ডিয়া দ্বিতীয় পেসার হিসেবে থাকলেও তার কার্যকারিতা নির্ভর করবে কন্ডিশনের ওপর।
স্পিন বিভাগে যদি চক্রবর্তী ও কুলদীপের মধ্যে কেবল একজন সুযোগ পান, তাহলে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে থাকবেন অক্ষর প্যাটেল। বাকি স্পিন দায়িত্ব পড়বে অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা ও রিঙ্কু সিং-এর মতো পার্ট-টাইম বোলারদের ওপর। এটি দলের ভারসাম্য রক্ষা করবে, তবে বোলিং গভীরতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ Asia Cup 2025: এশিয়া কাপে ভারতের রয়েছে এমন ৫টি রেকর্ড, যা ভাঙা একপ্রকার অসম্ভব
সব মিলিয়ে, গম্ভীরের নেতৃত্বে ভারতের টি-২০ দল কৌশলগতভাবে সাহসী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই মডেল দলের ব্যাটিং শক্তি বাড়ালেও বোলিং কম্বিনেশন নির্ধারণে জটিলতা তৈরি করছে। তবে এশিয়া কাপে দলে একজন প্রধান পেসার সঙ্গে হার্দিক ও দুবে খেলতে পারেন। বুমরাহও থাকতে পারেন বাইরে। অপরদিকে, স্পিন অ্যাটে কুলদীপ-বরুন-অক্ষরকে একসঙ্গে খেলালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে উইকেটের উপর।