এস সি ইস্টবেঙ্গল - ০
#গোয়া: মঙ্গলবার মারগাওর ফতরদা স্টেডিয়ামে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বেশ আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করছিল ইস্টবেঙ্গল। ৪-৪-২ ছকে দল সাজিয়েছিলেন মারিও রিভেরা। প্রথম দলে দুই বিদেশি ফ্রানজ এবং ফ্রান্সিস্কো সতা। হাওকিপ, হানামতে, মহেশ সিং -রা প্রথম থেকে দ্রুত আক্রমণ গড়ে খুলে ফেলার চেষ্টা করছিলেন মুম্বই ডিফেন্সকে। সুযোগ এসে গিয়েছিল মহেশের সামনে। কিন্তু নিশানায় স্থির থাকতে না পারায় গোল পাননি।
advertisement
আইএসএলে নিজেদের প্রিয় দল ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে এখন আর চিন্তা করেন না লাল-হলুদ সমর্থকরা। দল গঠন যখন ঠিকঠাক হয়নি, তখন এই দল সাফল্য পাবে না সেটাই ছিল দস্তুর। ফুটবল বিজ্ঞানে তাই এই দলের ব্যর্থতার কারণ অদ্ভুত কিছু নয়। যা হওয়ার তাই হয়েছে। মাঝপথে স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরা এসে এফসি গোয়াকে হারিয়ে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার।
মঙ্গলবার মুম্বই সিটি এফসি’র মুখোমুখি হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ম্যাচটি স্রেফ নিয়মরক্ষার (১৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে একাদশ স্থানে)। কিন্তু মুম্বইয়ের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিন পয়েন্ট পাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পক্ষান্তরে, কার্ড সমস্যায় হীরা মণ্ডল না থাকায় রক্ষণ আরও অবিন্যস্ত হওয়ার কথা ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের।
এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, ১৭ ম্যাচে ৩৩ গোল হজম করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আজ ১৮ নম্বর গোল হজম করতে হল লাল হলুদকে। মুম্বইয়ের মিডফিল্ড জেনারেল জাহু ছিলেন না। তাই মাঝখানে মুম্বই ফুটবলারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করেছিলেন রফিক, সৌরভ দাস, হানামতেরা। বিশেষ ওপেন স্পেস পাচ্ছিল না মুম্বই। বিরতির ৫ মিনিট পর গোল পেয়ে গেল মুম্বই। ব্র্যাড ইনম্যান বল বাড়ালে, বিপিন সিং অনেকটা দৌড়ে কাট করে বা পায়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
তবে এক্ষেত্রে কিছুটা দোষ দিতেই হবে ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক শংকরকে। দায় এড়াতে পারেন না ডিফেন্ডার ফ্রানজ। তিনি ট্যাকল না করে জায়গা ফাঁকা করে দিলেন। সঠিক সময় ডাইভ দিতে ব্যর্থ শংকর রায়। পরের দিকে সিডল, অঙ্গু, জ্যাকিচাঁদকে নামিয়ে একটা শেষ চেষ্টা করেছিলেন লাল হলুদ কোচ। কিন্তু লাভ হল না। মুম্বইয়ের ক্যাসিও সহজ সুযোগ না হারালে ব্যবধান বাড়তে পারত গত বারের চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে।
ম্যাচের সেরা বিপিন সিং। ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এল মুম্বই। ইস্টবেঙ্গল সবার নীচে। যেন এটাই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে স্কোরলাইন দেখে। কিন্তু এদিন ইস্টবেঙ্গল যথেষ্ট লড়াই করেছে। শেষ দিকে সোটা সহজ সুযোগ না হারালে ম্যাচটা ড্র হতে পারত। কিন্তু ফুটবল অনিশ্চয়তার খেলা। যেটা হয়নি, তার কোন মূল্য নেই। যা হয়েছে সেটাই আসল।