শেষ মুহূর্তে নিলামে থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। কিন্তু রিলায়েন্সের ভুট, ডিজনির হটস্টার এবং জিও সনির ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দুটি এই সম্প্রচার পেতে লড়বে। অনেকের তো ধারণা টিভি সম্প্রচার সত্ত্বের চেয়ে স্ট্রিমিং সম্প্রচার সত্ত্ব থেকেই এবার বেশি অর্থ পাবে।
তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহর দাবি, নিলামের যে ভিত্তি মূল্য সেটি পেলেই ম্যাচপ্রতি আয়ে দুইয়ে চলে যাবে আইপিএল। আইপিএল সম্প্রচার স্বত্ব কেনার লড়াই দ্বিতীয় দিনে পড়েছে। সোমবার টিভি ও ডিজিটাল সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হল ৪৩ হাজার ৫০ কোটিতে!
advertisement
'এ', 'বি', 'সি' ও 'ডি', মোট চারটি প্যাকেজে এই বিডিং প্রক্রিয়াকে ভাগ করা হয়েছে। 'এ' এবং 'বি' বিক্রি হয়ে গেল।এমনটাই সূত্রের খবর। যার মানে আইপিএলে প্রতি ম্যাচের দাম এখন ১০০.৫ কোটি টাকার ওপর! যা ১৫ বছরের আইপিএল ইতিহাস তো বটেই, এমনকী ভারতীয় স্পোর্টসে এর আগে এমনটা শোনা যায়নি।
প্রতি ম্যাচের দামের বিচারে আইপিএল ছাপিয়ে গেল ইংলিশ প্রিমিয়র লিগকেও! চমক লাগলেও, এটাই বাস্তব। প্যাকেজ 'এ' শুধুমাত্র ভারতীয় উপমহাদেশে টিভি সম্প্রচার স্বত্বের জন্য। প্যাকেজ 'বি'-তে একই অঞ্চলের জন্য ডিজিটাল টিভি সম্প্রচার স্বত্বের জন্য। ই-নিলাম চলছে প্রতি মরশুমে ৭৪ ম্যাচের হিসাব ধরে আগামী পাঁচ মরশুমের জন্য।
শেষ দুই বছরে ম্যাচের সংখ্যা ৯৪ হতে পারে। প্যাকেজ 'সি'-তে প্রতি মরশুমে ১৮টি ম্যাচ দেখানোর ডিজিটাল স্বত্বের কথা বলা হয়েছে। প্যাকেজ 'ডি' রাখা হয়েছে প্রতিটি ম্যাচের মিলিত টিভি এবং ডিজিটাল স্বত্ব, যা প্রযোজ্য বিদেশি বাজারে।
বিসিসিআই ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১৬,৩০০ কোটি টাকা পেয়েছিল স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ককে মিডিয়া রাইটস বিক্রি করে। ২০২৩-২৭ সালের মিডিয়া রাইটস বিক্রি করছে। এর ফলে ক্রিকেট দুনিয়ার আর কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলের ধারে কাছেও আসতে পারবে না।