বিরাট কোহলি, যিনি ভাগ্য, সৌভাগ্য, লাক, কপাল, প্রায় সবই নিজের বশে এনেছেন। আর এই অশ্বমেধের যজ্ঞ সাধনে তাঁর হাতের একমাত্র অস্ত্র ছিল পরিশ্রম। তার জোরেই তিনি আজ ক্রিকেটবিশ্বের এভারেস্টে চড়ে বসেছেন, যেখানে তিনিই আছেন অধিশ্বর হয়ে, আর কেউ তাঁর আশেপাশে নেই।
বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা হয়েছিল। বিরাট কোহলি এর পর ক্রিকেট ছেড়ে দিলে একটাই আক্ষেপ নিয়ে হয়তো ছাড়তেন! আইপিএল জেতা হল না! তবে ক্রিকেটঈশ্বের বলে যদি কেউ থাকেন, তিনি কোহলির প্রতি সদয়। তিনি চাননি, বিরাট কোহলি এক টুকরো সাফল্য থেকেও বঞ্চিত করতে। কোহলির জন্য ক্রিকেট অকৃতদার। তাঁর জন্য সব সাফল্যের ডালি সাজানো থরে থরে।
advertisement
১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান আজ আরসিবির। এমন রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে হয়তো প্রয়াত বাবাকে স্মরণ করতে চেয়েছিলেন কোহলি! তবে সেই মুহূর্ত উপহার হিসেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। আজ পেলেন। বিরাট কোহলির ঝুলিতে এখন সব সাফল্যের পশরা সাজানো রইল। আর হয়তো তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কথা হবে না!
আরও পড়ুন- সৌরভ বলে দিলেন IPL চ্যাম্পিয়ন কে! বড় ভবিষ্যদ্বাণী, ‘দাদা’ আজ কার দিকে?
প্রীতি জিন্টার দুর্ভাগ্য ব্যাখ্যা করার উপমা আজ অনেকেই হয়তো পাবেন না। তাঁর অপেক্ষার অবসান হল না আজও। তিনি মাঠে নেমে খেলেন না ঠিকই। তবে তাঁর এনার্জি, ক্রিকেটের প্রতি প্যাশন, মালকিন হিসেবে সাফল্যের মুখ দেখার ইচ্ছে ও টিমের প্রতি ভালবাসার কোনও তুলনাই হয় না। তবুও তাঁর অপেক্ষার প্রহর বাড়ল। হয়তো কোনও এক বছর প্রীতি আইপিএলের সেই সোনালী ট্রফি ছুঁয়ে দেখবেন, মালকিন হিসেবে।
প্রথমে ব্যাট করে এদিন ১৯০ রান করে আরসিবি। কোহলি ৩৫ বলে ৪৩ রান করেন। এছাড়া আর বলার মতো রান নেই কারও। পঞ্জাবের অর্শদীপ ও কাইল জেমিসন তিনটি করে উইকেট নেন। জবাবে পঞ্জাবের ইনিংস শেষ হয় ১৮৪ রানে। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার ফাইনালে ফ্লপ। জশ ইংলিশ ৩৯ রান করেন।
২০০৯, ২০১১, ২০১৬ সালে যে সুযোগ ফস্কেছিল আরসিবির, তা আজ ধরা দিল তাদের হাতে। আজ বেঙ্গালুরুর উদযাপনের দিন। বিরাট কোহলির জন্য উৎসবের দিন। এমন রাত তো রোজ রোজ আসে না!