২০২৫ আইপিএলের সবচেয়ে বড় চমক রাজস্থান রয়্যালসের ১৪ বছরের এই পাওয়ার হিটার। কিন্তু তাঁর খ্যাতির শিখরে ওঠার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। আইপিএলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ব্যাটসম্যানটি তাঁর সাফল্যের পেছনে তাঁর বাবা-মায়ের অবদান এবং ত্যাগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেছেন, “আজ আমি যা কিছু, সবই আমার বাবা-মায়ের জন্য। আমার মা রাত ২টায় উঠতেন আর রাত ১১টা পর্যন্ত জেগে থাকতেন শুধুমাত্র আমার অনুশীলনের জন্য। তারপর আমার জন্য খাবার রান্নাও করতেন। আমার বাবা আমার জন্য চাকরি ছেড়ে দেন এবং এখন আমার ভাই সংসারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ঘরে অবস্থা খুবই কঠিন ছিল, কিন্তু যারা কঠোর পরিশ্রম করেও ঈশ্বর তাঁদের দেখেন।”
advertisement
ভিডিওতেই সূর্যবংশী আরও বলেন, “আমি চাই আমার সেরাটা দিতে, এবং যতটা সম্ভব দলের জন্য অবদান রাখতে।” এই কিশোর নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান, কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়ের অধীনে খেলার সুযোগ পেয়ে তিনি কতটা গর্বিত এবং রাজস্থান রয়্যালসের সতীর্থদের অশেষ সহানুভূতি ও পরামর্শ তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়, যা খেলার আগে তাঁর সব দুশ্চিন্তা দূর করে দেয়।
প্রসঙ্গত, গুজরাতের দেওয়া ২১০ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করেন বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৭ বলে ৫০ রান করেন তিনি। আর সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৩৫ বলে। আইপিএলের ইতিহাসে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন বৈভব সূর্যবংশী। একইসঙ্গে ক্রিস গেইলের পর আইপিএলের দ্বিতীয়দ্রুততম শতরানের মালিকও হলেন তিনি। এছাড়া শুধু আইপিএল নয় বিশ্বে যে কোনও ধরনের টি-২০ ক্রিকেচে সবথেকে কম বয়সে শতরান করলেন বৈভব সূর্যবংশী।