আরও পড়ুন: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা! ধাক্কার পরে তিনটি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন! জীবন্ত দগ্ধ চালক
বিপক্ষ ক্রিকেটারদের থেকেও এই দুশ্চিন্তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর। এমনিতে ম্যাচের দিন ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ম্যাচ ঘিরে। তবে সেটা তো প্রকৃতির হাতে, যদিও সিএবি কর্তৃপক্ষ তৈরি ম্যাচ আয়োজনের জন্য। প্রায় ৮০-৯০ জন মাঠকর্মী উপস্থিত থাকছেন। ম্যাচের সময় বৃষ্টি হলে আলাদা কথা, না হলে বৃষ্টি থেমে গেলে ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারবেন কর্মীরা। ইডেনে পুরো উইকেট সহ গোটা মাঠ ঢেকে ফেলার সুবন্দোব্যস্তও রয়েছে।
advertisement
বৃষ্টি তাই নাইটদের বড় দুশ্চিন্তা নয়। এছাড়াও আরও বড় সমস্যায় কেকেআর। এই অবধি পড়ে আপনি ভাবছেন হয়তো, তাহলে কি কোন প্লেয়ারের চোট? কোন প্লেয়ার কি নাম তুলে নিল টুর্নামেন্ট থেকে? না, এরকম কিছুই ঘটেনি। কেকেআরের ২১ জন স্কোয়াডের ক্রিকেটার সবাই চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন। তবে যাবতীয় সমস্যা তারপর শুরু হয়। অর্থাৎ অনুশীলন শেষ হবার পরে। এবার আপনারা ভাবছেন হয়তো, বোর্ডের নয়া নির্দেশিকা মানতে গিয়ে কি কোন সমস্যা? না সেটাও নয়। কলকাতা নাইট রাইডার্স দীর্ঘদিন ধরেই টিম বাসে শুধু ক্রিকেটারদেরই নিয়ে যাতায়াত করে। ফলে বোর্ডের গাইড লাইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে কেকেআর।
না আর আপনাদের কৌতূহল বাড়াবো না। কেকেআরের যাবতীয় সমস্যা টিম হোটেলে। যেটা কিনা বিপক্ষ থেকেও ভয়ঙ্কর। কেকেআরের সমস্যার আসল নাম মশা। বাইপাসের ধারে যে টিম হোটেলে কেকেআর ঘাঁটি গেড়েছে সেখানেই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। আইপিএলের প্রথম থেকে এই টিম হোটেলেই থাকে কেকেআর। তবে এবার টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, ক্রিকেটারদের রুমের মশার উপদ্রব যথেষ্ট বেশি। মশার কামড়ে রাসেল থেকে রাহানে, নারিন থেকে রিঙ্কু। মশার কামড়ে নাজেহাল অবস্থা প্রত্যেকের। রীতিমতো রাতের ঘুম উড়েছে বলে খবর।
বেডরুম থেকে কনফারেন্স রুম সব জায়গায়ই মশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নাইট শিবিরের ওপর। সমাধানের রাস্তা খুঁজতে ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত মশা মারার ধুপ দেওয়া হচ্ছে, ঘরের জন্য। ম্যানেজমেন্ট এর সূত্রে খবর অনুযায়ী, মশা মারতে কামান দাগা হয়েছে। রীতিমতো প্রথম কয়েকদিন সমস্যায় পড়ার পর মশার মারার জন্য স্প্রে এবং ধোঁয়া প্রত্যেকটা ঘরে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে কিছুটা হলেও সমস্যা মিটেছে বলে খবর। ফলে দিন কয়েক হলো নিশ্চিন্তের ঘুম ক্রিকেটারদের হচ্ছে। ১২ই মার্চ থেকে শিবির শুরু করার পর প্রথম দিক থেকে মশার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছিল ক্রিকেটারদের। তবে আপাতত স্বস্তি। তবে দুশ্চিন্তা একেবারেই যাচ্ছে না, প্রতিপক্ষের নাম যেহেতু মশা। যে কোন সময় আবার ফিরে আসতেই পারে।