রীতিমতো তর্কে জড়ালেন অবাধ্য ঈশান কিষাণের সঙ্গে। যদিও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ভুল ছিল ঈশানের। কী হয়েছিল ঘটনা? মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অনুশীলন করে ইডনে। সেই অনুশীলনের শেষ দিকে ফুটবল খেলছিলেন ক্রিকেটাররা। ফুটবল খেলায় ছিলেন ঈশান, অভিষেক শর্মা-সহ বেশ কয়েকজন। সেই সময় নাকি মাঠের পাশে থাকা ইলেকট্রনিক্স বোর্ডে টার্গেট করে বল মারছিলেন ক্রিকেটাররা। বিজ্ঞাপনের জন্য মাঠের চারিদিকে থাকা ইলেকট্রনিক বোর্ডগুলোতে বল মারার নিয়ম নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: সাপের ‘হানিমুন স্পট’, মিলনের জন্য প্রতি বছর আসে ৭৫ হাজার সাপ! কোথায় এই বিষাক্ততম এলাকা
চলতি বছর যে নির্দেশিকা আইপিএল গভর্নিং কমিটির তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট রয়েছে কোন ক্রিকেটাররা অনুশীলনের সময় ইলেকট্রনিক বোর্ডে বল মারতে পারবেন না। যদিও এক্ষেত্রে ঈশান কিষাণরা ফুটবল মার ছিলেন ক্রিকেট বলের জায়গায়। এই ঘটনা দেখতে পেয়েই সুজন মুখোপাধ্যায়, ঈশান কিষাণকে বকাবকি করেন। রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনার আকর্ষ্মিকতা বুঝে উঠতে একটু সময় লাগে ঈশান কৃষাণের। সেই সময় ড্রেসিংরুমে ঢুকে গেলেও পরবর্তী সময়ে বেরিয়ে এসে ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের খোঁজ করেন ঝাড়খণ্ডের এই ক্রিকেটার।
যদিও সেই সময় মাঠে ছিলেন না সুজন মুখোপাধ্যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঈশান রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাগ দেখাতে থাকেন। কেন তাকে বলা হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমনকি পরবর্তীতে এসে কথা বলবেন বলেও জানান। যদিও ঘটনা বেশিদূর এগোইনি কারণ সেই সময় অভিষেক শর্মা এসে ঈশানকে শান্ত করে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যায়। এক সময় অবোধ্যতার কারণে বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া ঈশান কিষাণ যে এখনও বাধ্য হননি তাই ঘটনা থেকে স্পষ্ট। যদিও এই বিষয়ে সুজন মুখোপাধ্যায় কিছু বলতে নারাজ। তবে তার স্পষ্ট বক্তব্য, কেউ অন্যায় করলে তার ভুল ঠিক করে দেওয়াটাই কাজ। কারণ মাঠ পরিচর্যার দায়িত্বে সম্পূর্ণ তিনি রয়েছেন।