সিএসকে ম্যাচের পর অনেক দিন বিশ্রাম পেয়েছে কেকেআর। ফলে মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে ধকল নিয়ে কোনও সমস্যা নেই দলের। সিএসকের বিরুদ্ধে জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন কেকেআর বোলাররা। বিশেষ করে বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিন দুই মিস্ট্রি স্পিনারের যুগলবন্দি প্রথমবার কাজ করে মরসুমে। সঙ্গে রয়েছেন সুয়াশ শর্মা। পেস অ্যাটাকে সিএসকে ম্যাচে ভালো বোলিং করেছিলেন বৈভব অরোরা, শার্দুল ঠাকুররা। তবে ঘরের মাঠেও সেই স্পিন অ্যাটাকেই লখনউকে মাত দিতে তৈরি হচ্ছে কেকেআর।
advertisement
কেকেআর ব্যাটিং লাইনের ফর্ম নিয়ে কিন্তু একটা চিন্তা শেষ ম্যাচেও থেকে যাচ্ছে। গত ম্যাচে নীতিশ রানা ও রিঙ্কু সিং ম্যাচ উইনিং ইনিংসটা না খেললে ১৪৪ রান তাড়া করতেও শুরুতে সমস্যা পড়তে হয়েছিল নাইটদের। জেসন টানা কিছু ম্যাচে রান করলেও শেষ ম্যাচে রান পাননি। রহমানউল্লাহ গুরবাজের ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। শেষের দিকে ছন্দ হারিয়েছেন ভেঙ্কটেশ আইয়র। রাসেলও তার সেরা ফর্মে নেই। তবে শেষ ম্যাচে নিডেদের সেরাটা দিয়ে জয় পেতে বদ্ধপরিকর কেকেআর।
অপরদিকে, ১৫ পয়েন্টে থাকলেও খুব একটা স্বস্তিতে লখনউ সুপার জায়ান্টস। কারণ সিএসকে, মুম্বই, আরসিবি যদি তাদের শেষ ম্যাচ জেতে আর লনউ যদি কেকেআরের বিরুদ্ধে হেরে যায়, তাহলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে এলএসজির। তবে তবে শেষ দুটি ম্যাচে ব্যাটে-বলে ধারাবাহিক পারফর্ম করছে লখনউ। ছন্দে রয়েছে ডিকক, স্টয়নিস, পুরান, মহসিন, বিষ্ণোইরা। ইডেনেও ২ পয়েন্ট নিয়েই প্লে অফের টিকিট পাকা করাই লক্ষ্য ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার দলের। ব্যাটিংয়ে ডিকক, তারউপর শন্বার ইডেনে মোহনবাগান ফ্যানেদের বাড়তি সমর্থনও পাবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: কেন কোহলির জার্সি নম্বর ১৮, এর পিছনে রয়েছে একাধিক বড় কারণ! ভেদ হল ‘বিরাট’ রহস্য
খাতায়-কলমে বিচার করলে কেকেআর ও লখনউ দুই দলেই একাধিক ম্যাচ উইনার রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ফর্মের নিরিখে এলএসজিকে কিছুটা এগিয়ে রাখতেই হবে। উল্টো দিতে শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠেপ সুবিধা নিতে চাইবে কেকেআর। যা এখনও পর্যন্ত নাইটরা পায়নি। এদিনের ম্যাচে টসও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে সব মিলিয়ে এদিনের ম্যাচ ৫০-৫০ বলছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।