আইপিএবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েই শুরু করেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তারপর আইপিএলের ১৬ বছরে নানা দল হয়ে বর্তমানে ঋদ্ধি গুজরাত টাইটান্সের ক্রিকেটার। বাংলা দলের সঙ্গেও সম্পর্কে ইতি টেনেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন ত্রিপুরার হয়ে খেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। সিএবির নির্দিষ্ট এক কর্তার সঙ্গে ঋদ্ধির মতানৈক্যের কারণেই বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পেশাদারিত্বের কাছে আবেগের যে কোনও দাম নেই তা ভালো করেই জানেন ঋদ্ধি। ইডেনে নামার আগে ঋদ্ধি বলেন, 'কলকাতা আমার বাড়ি। আমি এখানে অনেক ম্যাচ খেলেছি। এখন আমি বাইরের দলের হয়ে খেলছি। আইপিএলে মোতেরা আমার ঘরের মাঠ। ইডেনে আমি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এসেছি। সেভাবেই নামব।' তবে বাংলার সঙ্গে তার কোনও ইগোর লড়াই নেই সেই কথাও জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা।
advertisement
অপরদিকে, ২ বছর হয়ে গেল ভারতীয় টেস্ট দলের বাইরে ঋদ্ধিমান সাহা। তাকে যে আর ভারতীয় দলে ভাবা হচ্ছে না তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেএস ভরত আশানরুপ পারফর্ম না করলেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দলে সুযোগ পেয়েছেন। দল থেকে বাদ পড়লেও পারফর্ম করে দলে ফিরেছেন অজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু ঋদ্ধি সেই ব্রাত্যের তালিকায়। রাহানের কামব্যাক নিয়ে ঋদ্ধি বলেন, 'রাহানেকে জাতীয় দলে ফের জায়গা দেওয়া হয়েছে কারণ ও অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছে। তবে আমি এখন শুধু গুরুত্ব দিচ্ছি গুজরাট টাইটানসের দিকে। এখানে ভালো পারফরম্যান্সের দিকে বেশি করে ফোকাস করছি।' এই মন্তব্য করে ঋদ্ধিও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি আর ভারতীয় দল নিয়ে ভাবছেন না।
আরও পড়ুনঃ KKR vs GT: ভাঙতে পারে উইনিং কম্বিনেশন! গুজরাতের বিরুদ্ধে কেকেআরের প্রথম একাদশে থাকছে কোন চমক
আরও পড়ুনঃ KKR vs GT: এবার দল থেকে রাসেল-নারিন দুজনই বাদ? মুখ খুললেন কেকেআর কোচ
কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে আগে দলের লক্ষ্য নিয়ে ঋদ্ধিমান সাহা বলেন,"প্রতিম্যাচে দুশো রান করার জন্য পাওয়ার প্লে-তে উইকেট হাতে রেখে পারফরম্যান্স জোরদার হওয়া জরুরি। মাঝের ওভারে রানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে শেষ পাঁচ ওভারে ফের গতি বাড়ানো সম্ভব। শেষ দুটো ম্যাচে আমরা জয়ের মধ্যে রয়েছি। আমরা চাইব ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে"। নিজেকে এখনও প্রথমে উইকেটকিপার পরে একজন ব্যাটার হিসেবে ভাবেন তিনি। ঋদ্ধি বলেছেন, "স্পিনারদের কিপিং করার সময় কিছু কিছু অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হয়। ধোনি ভাইকে দেখেছেন বেশ কিছু ক্ষেত্রে পা দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করত। আমাকেও সেই ধরনের চেষ্টা করতে হচ্ছে। একইভাবে ব্যাটিং করার সময় লক্ষ্য থাকে নিজের বড় রানের চেয়েও দলের বড় ইনিংসে ভূমিকা গ্রহনে। তাই আমি কেন বড় রান করতে পাচ্ছি না তা নিয়ে ভাবছি না। দলের জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ।" আবেগতে দূরে সরিয়ে ইডেনে নামার আগে পেশাদারিত্বকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন ঋদ্ধিমান সাহা তার প্রমাণ পাপালির প্রতিটি কথায়।