শনিবার গুজরাট এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর আইপিএল ম্যাচ ছিল।সকাল থেকেই মাঠের চারদিকে দর্শকদের ভিড় লেগে ছিল। ইডেনের সামনের মাঠ থেকে শুরু করে মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তি, ভিড় সর্বত্র।
সমস্ত জায়গাতেই ক্রিকেট ভক্তদের ভিড় ছিল। তার সঙ্গে যারা টিকিট পায়নি তাদেরও টিকিট কেনার হুড়োহুড়ি দেখা গেল। আর সেই সুযোগ নিল ব্ল্যাকাররা।
আরও পড়ুন- লোকে ভাবত, তিনি সমকামী! আইপিএলের সেই ক্রিকেটারের বান্ধবী এত সুন্দরী!
advertisement
মাঠের চারদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ভিখারি বেশে প্রচুর মহিলা পুরুষের ভিড় ছিল। যাদের ঝোলার মধ্যে টিকিট রাখা ছিল। তবে আইপিএলের টিকিট হাজার টাকার কমে তাদের কাছে নেই। ঝোপ বুঝে কোপ মারা যাকে বলে আর কী!
ব্ল্যাকাররা ৫০০ টাকার টিকিট চাইছিল দেড় হাজার থেকে দু হাজার টাকা করে। কাছেই ইডেনের বাইরে,মাঠের মধ্যে বিভিন্ন ছেলেরা ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তাদের কাজ কাস্টমার ধরা। তার পর টিকিট বিক্রির বিষয়ে পাকাপাকি হলেই চট করে ভিখারি বেশিদের কাছ থেকে টিকিট নিয়ে বিক্রি করছে তারা।
মালদহের কালিয়াগঞ্জ থেকে পাঁচ বন্ধু এসেছিল খেলা দেখতে। তিন বন্ধু অনলাইন টিকিট কেটে নিয়ে এসেছিল। বাকি দুই বন্ধুও খেলা দেখতে চলে আসে। তাঁদের জন্য টিকিট জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো মাথায় হাত পড়ে ওই যুবকদের।
আরও পড়ুন- টিটিই-র চাকরির সময় কত টাকা মাইনে পেতেন ধোনি? জানলে অবাক হবেন
তাদের কাছে স্বল্প মূল্যের টিকিট চেয়ে বসে দেড় হাজার টাকা। যত সময় এগিয়েছে, তত তারা বাধ্য হয়ে এক হাজার টাকা করে ব্ল্যাকে দুটি টিকিট কিনতে বাধ্য হয়।
স্টেডিয়ামে ভেতর থেকে মাঠের বাইরে রাস্তা ,সমস্ত জায়গায় পুলিশ ছিল। কিন্তু পুলিশের নাকের ডগায় রীতিমতো টিকিট ব্ল্যাক চলেছিল। যারা এই টিকিট ব্ল্যাক করছিল, তাদের শিরোভাগ ইডেনের মাঠের আশেপাশের বাসিন্দা।
শহরে টিকিট ব্ল্যাক-এর চক্র আগেও যেমন ছিল, এখনও আছে। এক নিমিষে বেশি টাকা রোজগারের নেশা , সেই সুযোগ কেউ ছাড়ে?