শাস্তি হচ্ছেই। নিউল্যান্ডসে বল বিকৃতির তদন্ত শেষে মঙ্গলবার এই দাবি করেছিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও জেমস সাদারল্যান্ড। তাই তড়িঘড়ি স্মিথ, ওয়ার্নার এবং ব্যানক্রফটকে দেশে ফেরার টিকিট ধরিয়ে দেওয়া হয়। কী শাস্তি হবে, সেই অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কারণ, বল বিকৃতির ঘটনায় কোচ লেম্যানকে ক্লিনচিট দিয়ে ফের ব্রিটিশ মিডিয়ার তোপের মুখে পড়েন অজি ক্রিকেট কর্তারা। এর উপর গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহে চাপ বাড়ছিল তাঁদের উপরে। বিশেষ করে শুরুর দিন থেকেই ক্রিকেটারদের নিশানা করেছিলেন অজি প্রধানমন্ত্রী। সবকিছু মাথায় রেখে বুধবার ভারতীয় সময় দুপুরে এক বছরের জন্য স্মিথ এবং ওয়ার্নারকে নির্বাসিত করল সিএ। ব্যানক্রফটের শাস্তির মেয়াদ ন’মাস। শাস্তির ইঙ্গিত আগাম আঁচ করেই এদিন সকালে আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন স্টিভ স্মিথ। হায়দরাবাদও ঘোষণা করে অধিনায়কের পদ ছাড়ছেন ওয়ার্নার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনের পর আইপিএল থেকেও এই বছরের জন্য দুই ক্রিকেটারকে ছেঁটে ফেল গর্ভনিং কাউন্সিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এক বছরের নির্বাসনের পাশাপাশি আইপিএলও এবছর খেলতে পারবেন না ওয়ার্নাররা ৷ তবে তাঁদের দু’জনেরই বদলি ক্রিকেটার নিতে পারবে তাঁদের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ৷ জানিয়েছেন আইপিএল কমিশনার রাজীব শুক্লা ৷
advertisement
ওয়াকিবহাল মতে, এই শাস্তির পিছনেও বিশ্বকাপকেই প্রাধান্য দিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দেশের দুই সেরা ক্রিকেটারকে এক বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়ে বিশ্বকাপের আগে ফিরিয়ে আনার রাস্তা খোলা রাখলেন। সেইসঙ্গে বোর্ডের গঠনতন্ত্র মেনে শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন শাস্তি পাওয়া তিন ক্রিকেটার। কী ভাবে তার শুনানি হবে, তা-ও ঠিক করার ক্ষমতা থাকতে ক্রিকেটারদের হাতেই। ফলে সবার নজর সেই শাস্তি পাওয়া তিন ক্রিকেটারের দিকেই। সিডনিতে এসেই হয়তো মুখ খুলতে পারেন নির্বাসিত অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।