কারণ ঘরের মেয়ে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হতে পেরেছে। এই গর্ব সব পরিবারের হয় না। টাকা দিয়েও কেনা যায় না। বাবা নীলাদ্রি বসু ব্যবসায়ী এবং মা মালবিকা বসু হাউস ওয়াইফ। ছোটবেলা থেকেই ঋষিতা পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন। ২০১৬ সালে লক্ষ্মীরতন শুক্লার স্পোর্টস একাডেমিতে ভর্তি হয়ে যান।
কিছুদিন আগে ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় নজরে পড়েন। ঋষিতা স্বাভাবিক অ্যাথলিট। শরীর ছুড়ে ডাইভ মারতে পারেন। উইকেট রক্ষক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনি তার আদর্শ। মাহির মত দ্রুত গ্লাভ ওয়ার্ক শিখতে চান। প্রয়োজনে ব্যাট হাতে কিছু রান করার ক্ষমতা রাখেন। আজ অবশ্য ভারতের বিশ্বজয়ের ম্যাচে বাংলার মেয়েকে ব্যাট হাতে নামতে হলেও কিছুই করতে হয়নি।
ম্যাচ শেষে দেখা গিয়েছে দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঋষিতা সেলিব্রেট করছেন কালা চশমা গানে। তবে বাংলার মেয়ে জানেন এটা সবে শুরু। বড় জায়গায় যেতে গেলে এবং ধারাবাহিক হতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও গা ভাসিয়ে দিতে নারাজ।
Rakesh Maity