দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করেও ব্যাট তোলেননি! তিনি এমন ম্যাচে নিজের সেঞ্চুরির থেকেও দলের লড়াইকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। সেই উলভার্টকে সাজঘরে ফেরান আমনজ্যোৎ। আর ভারতীয় দলের সেই মেয়ে তখনও জানতেন না, তাঁর বাড়িতে কী ঘটে গিয়েছে! বিশ্বজয়ের পর তিনি জানতে পারেন, তাঁর ঠাকুমা ভগবন্তী কৌর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের লোকজন চাননি, মেয়ের কানে এমন দুর্ভাবনার কথা পৌঁছক।
advertisement
মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপ ম্যাচ যখন হচ্ছিল, সেই সময়েই হৃদ্রোগে আক্রান্ত ভগবন্তীকে নিয়ে বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ছোটাছুটি করছিলেন। তবে ভারতীয় তারকার বাড়ির লোকজন সে কথা জানতে দেননি মেয়েকে। এমন খবর তাঁকে বিচলিত করতে পারে বলে। পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে। বাড়ির সবাই কয়েকদিন ধরেই মোহালির হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করছিলেন। আর আমনজ্যোৎ সেই সময় বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে ছুটছিলেন।
২৫ বছর বয়সী ব্যাটিং অলরাউন্ডার এবারেরর বিশ্বকাপে ১৪৬ রান করেছেন। সঙ্গে নিয়েছেন ৬ উইকেট। তাঁর এমন অবদানের কথা দেশবাসী ভুলবেন না। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পরই ঠাকুমার অসুস্থতার কথা জানতে পারেন তিনি। আর তার পর থেকেই বাড়ি ফেরার জন্য তিনি ছটফট করছেন।
আরও পড়ুন- বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হরমনপ্রীতরা, ভারত কত টাকা পাবে? বিসিসিআই দারুণ বোনাস দিচ্ছে
ছোট থেকেই ঠাকুমার খুব কাছের একজন আমন। তাই প্রিয় মানুষের এমন শরীর খারাপ তাঁকে বিচলিত করেছে। ছোটবেলার পাড়ার পার্কে এই ঠাকুমাকে সঙ্গে নিয়েই ক্রিকেট খেলতে যেতেন আজকের ভারতীয় তারকা।
