ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। এবং চতুর্থ ইনিংসে বিপক্ষের দাপটের সামনে বোলারদের ফর্ম হারানো। জোহানেসবার্গ ও কেপটাউনে প্রোটিয়াদের যথাক্রমে ২৪০ ও ২১২ রানের টার্গেট দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এজবাস্টনে সেটাই দাঁড়ায় ৩৭৮ রানে। কিন্তু তারপরও জেতা যায়নি।
ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য রিভিউয়ের কথা শোনাচ্ছেন। বলেছেন, প্রতিটা পরাজয়ই শিক্ষা দেয়। কেন টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে আমরা ব্যাট করতে পারছি না, তা দেখতে হবে। কেন চতুর্থ ইনিংস আসছে না বিপক্ষের দশ উইকেট, সেটাও ভাবনার বিষয়। প্রাথমিকভাবে এই হারের কারণ হিসেবে ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দেখাচ্ছেন দ্রাবিড়।
advertisement
তাঁর মতে, আমরা হয়তো জেতার তাগিদ ধরে রাখতে পারছি না। ১২টি ম্যাচ খেলে ভারতের সংগ্রহ ৫৩.৪৭ শতাংশ পয়েন্ট। প্রথম দুই দল অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেই ম্যাচের আগে ভারতের এখনো ছয়টি ম্যাচ বাকি। কিন্তু ছয়টি ম্যাচ জিতলেও যে তাদের ফাইনালে ওঠা হচ্ছে না!
তাকিয়ে থাকতে হবে জটিল সমীকরণের দিকে। ছয় ম্যাচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চারটি টেস্ট খেলবে ভারত। আর দুটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটি ঘরের মাঠে হলেও নভেম্বরে বাংলাদেশের মাটিতে হবে বাকি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
এই ছয়টি ম্যাচ জিতলে ভারতের ৬৮.৯৮ শতাংশ পয়েন্ট হবে। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭৭.৭৮ শতাংশ পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার আছে ৭১.৪৩ শতাংশ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের ভবিষ্যৎ খুব একটা উজ্জ্বল মনে হচ্ছে না।
তাই বিসিসিআই ঠিক করেছে এই বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে চলা টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে টার্গেট করেই আপাতত এগোবে টিম ইন্ডিয়া। একটাই টার্গেট টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়।