দক্ষিণ আফ্রিকা: ১২১ ও ১৪৩
ভারত জয়ী ৩৩৭ রানে ৷
#নয়াদিল্লি: প্রায় দু’টো সেশন জুড়ে ব্যাট করে রবিবার ভারতীয় বোলারদের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন হাশিম আমলা এবং এবি ডেভিলিয়ার্স জুটি ৷ ভারতের জয়ের জন্য প্রধান কাটা ছিলেন এই দু’জনই ৷ প্রথম সেশনে আমলাদের ফেরত পাঠাতে পারলেই সিরিজ ৩-০ করাটা যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা , সেটা ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাকেও বলে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না ৷ সোমবার পঞ্চম দিনে ঠিক সেই কাজটাই করতে সফল ভারতীয় বোলাররা ৷ রবীন্দ্র জাদেজার বলে আমলা (২৫) বোল্ড হতেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেন বিরাটরা ৷ এরপর একে একে প্যাভিলিয়ানে ফেরেন ডু-প্লেসি (১০), ডুমিনি (০), ভিলাস (১৩) এবং ডেভিলিয়ার্স (৪৩)-রা ৷ অধিনায়ক হিসেবে দেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতার স্বাদ পেলেন বিরাট। এই সিরিজ জয়ের ফলে আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে দু’ নম্বরে উঠে এল ভারত।
advertisement
কোটলা টেস্টে শেষ সেশনটি অবশ্য এদিন দেখার মতো ছিল সিরিজ জেতা হয়ে গেলেও জয়ের খিদে তখনও এতটুকু কমেনি ক্যাপ্টেন কোহলির। চা-বিরতির পর মাঠে নেমেই হাডলটা সেরে ফেললেন বিরাট। দলের মজ্জায় গেঁথে একটাই মন্ত্র। রাজধানী প্রোটিয়া বধে দরকার একটা ভালো স্পেল। তাই প্রয়োজন নিজেদের সেরার সেরাটা উজাড় করে দেওয়া। আর তাতেই বাজিমাত। কম্পন শুরু কোটলায়। শেষ ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা অশ্বিনের একটা ভেল্কি ডেলিভারিতে কাত প্রোটিয়া দূর্গ রক্ষাকারী প্রহরী ডেভিলিয়ার্স। ২৯৭ বল সামলেও প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল এবিডিকে। আর তারপরই উমেশের ভয়ঙ্কর সেই স্পেল। তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলের লেজ। কখনও বোল্ড করে উইকেট ভেঙে দিলেন উমেশ আবার কখনও বা উমেশের বলে বাজপাখি হয়ে ক্যাচ ধরলেন ঋদ্ধি। অধিনায়কের ভোকাল টনিকেই কেল্লাফতে। বিরাটের কবজায় কোটলা। ১৪৩ রানে শেষ আমলা শিবির। ৩৩৭ রানে বিরাট জয় পেলেন কোহলিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এর আগে টেস্টে এত বড় সাফল্য নেই ভারতের। ম্যাচের সেরা ও সিরিজ সেরা হয়ে চেন্নাইয়ের বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন রাহানে-অশ্বিন দু’জনেই। নিজেদের পুরস্কার মূল্য উৎসর্গ করলেন বন্যা পীড়িত চেন্নাইবাসী ও ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশ্যে।