ভারতে শেষবার কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজন করেছিল ২০১০ সালে। সে বার দিল্লিতে বসেছিল আসর। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জমা দেয় আইওএ। তখনই এই খবর সামনে আসে। ভারতে এখনও পর্যন্ত অলিম্পিকের আসর বসেনি। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মুম্বই অধিবেশনে প্রথমবার ভারতের ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনের আগ্রহের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কের মতো দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে ভারতকে। সামনে এখনও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
advertisement
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কমনওয়েলথ গেমসে ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও গুজরাত আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। যদি ভারত অনুমতি পায়, তাহলে আহমেদাবাদেই বসবে ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমসের আসর। ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক দেশ ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অর্থসংকট সহ বিভিন্ন কারণে তারা আয়োজন থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোকে ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমসের নতুন আয়োজক দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০২৬-এর কমনওয়েলথ গেমসে হকি, ব্যাডমিন্টন, কুস্তি, শ্যুটিংয়ের মতো জনপ্রিয় কিছু খেলা বাদ দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন, ভেন্যু পরিবর্তনের কারণে এবারে কমনওয়েলথ গেমসের বাজেট এবং সময়সীমা কাটছাঁট করা হয়েছে। রাখা হয়েছে ১০টি খেলা। কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, হকি, শ্যুটিং, স্কোয়াশ, টেবিল টেনিস ও কুস্তি র মতো ৯টি গুরুত্বপূর্ণ খেলাকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জবাবে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমস সফলভাবে আয়োজনের জন্য শুধু ১০টি খেলা রাখা হয়েছে। তবে কোনও খেলাকে বাদ দেওয়ার মানে এই নয় যে ভবিষ্যতে গেমস থেকে সেগুলো স্থায়ীভাবে ছেঁটে ফেলা হবে।” কমনওয়েলথ গেমসে কোন খেলাগুলো থাকবে, তা ঠিক করে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন ও আয়োজক দেশ।