এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। শুধু মাত্র নুয়ানিদু ফার্নান্ডো ও কুশল মেন্ডিসের মধ্যে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ ছাড়া কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। ফার্নান্ডো-মেন্ডিসের পার্টনারশিপ ভাঙার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। ৩৯.৪ ওভারে ২১৫ রানে শেষ হয়ে যায় দাসুন শানাকার দলের ইনিংস। এদিন শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন নুয়ানিদু ফার্নান্ডো।
advertisement
ভারতের বোলিং অ্যাটাকে দুরন্ত পারফর্ম করেন কুলদীপ যাদব ও মহম্মদ সিরাজ। ৩টি করে উইকেট নেন দুজনে। যুজবেন্দ্র চাহলের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়ে পয়া ইডেনে ফের একবার নিজের স্পিনের ভেলকি দেখান চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ। এছাড়া ইডেনেও নিজের আগুনে বোলিং জারি রাখেন উমরান মালিক। দুটি উইকেট নেন কাশ্মীর এক্সপ্রেস। একটি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
মাত্র ২১৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ক্রিকেটের নন্দনকাননে এদিন ব্যর্থ হন ভারতের তারকাখোচিত টপ অর্ডার। শুরুটা ভাল করলেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা, শুবমান গিল, শ্রেয়স আইয়ররা। বিরাটের ব্যাটেও এদিন রান আসেনি। রোহিত ১৭, শুবমান ২১, কোহলি ৪ ও শ্রেয়স ২৮ রান করেন। ৮৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে একসময় কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল।
এরপর দলের ইনিংসেরা রাশ ধরেন কেএল রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া। ঠান্ডা মাথায় দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যায়। দুজন মিলে ৭৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। হার্দিক পান্ডিয়া ৩৬ করে আউট হন। শেষের দিকে অক্ষর প্যাটেল করেন ২১। তবে একদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান রাহুল। অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। দাঁড়িয়ে থেকে দলকে জয় এনে দেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন কেএল রাহুল। ১০ রানে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ যাদব। ৪৩.২ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া।