প্রথম দিনের শেষে
#জোহানেসবার্গ: দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ভারতের ২৯ বছরে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ আছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। যদিও বিপক্ষ দলের ডি ভিলিয়ার্স, ডু প্লেসিদের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নেই, ডেল স্টেইন নেই, চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন নখিয়া - তবুও বলতেই হচ্ছে এবারে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে টেস্ট সিরিজ না জিততে পারলে সেটাই হবে অদ্ভুত ঘটনা।
advertisement
বিরাট কোহলির টস ভাগ্য সহায় ছিল। ব্যাটিং করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি ভারত। ময়াঙ্ক আগারওয়াল এবং রাহুলের ১১৭ রানের পার্টনারশিপ ভিত তৈরি করে দিয়েছিল। ৬০ করে আগারওয়াল ফিরে গেলেও বিরাট কোহলি যথেষ্ট ভাল শুরু করেছিলেন। ৩৫ রানের ইনিংস সাজানো ছিল চারটি দেখার মত বাউন্ডারি দিয়ে। কিন্তু অনেক বাইরে একটি বলে খোঁচা দিয়ে আউট হলেন ভারত অধিনায়ক।
পূজারা গোল্ডেন ডাক। কিন্তু প্রবল চাপে থাকা অজিঙ্কা রাহানে প্রথম থেকেই যেন সেট হয়ে নেমেছিলেন। ধীরগতিতে নয়, বেশ আক্রমনাত্মক গতিতে এদিন ব্যাট করলেন তিনি। ভরসা দিলেন কে এল রাহুলকে। আর অন্যদিকে রাহুল শতরান করে ভারতের কাজটা সহজ করে দিলেন। ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে সেঞ্চুরি করার পর এদিন দক্ষিণ আফ্রিকায় আবার শতরান পেলেন ভারতীয় ওপেনার।
অনবদ্য ইনিংস খেললেন। ধৈর্য, টেকনিক এবং রাখার মত শট দিয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস। টেস্ট ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সপ্তম শতরান পেয়ে গেলেন ভারতের সহ অধিনায়ক। একটা লম্বা ইনিংস কিভাবে সাজাতে হয় রাহুলের ব্যাটিং দেখলে বোঝা যায়। গোটা ইনিংসে একবার ছাড়া সুযোগ দেননি বিপক্ষকে। সামনের পায়ে যেমন ড্রাইভ করলেন, তেমনই পেছনের পায়ে কাট করলেন সহজাত ভঙ্গিতে।
রাবাডা, মুলদার, মহারাজদের মাথায় চড়তে দিলেন না। চারিদিকে শট খেললেন। ড্রেসিংরুমে বিরাট কোহলি এবং বাকিদের উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিতে দেখা গেল রাহুল শতরান করার পর। দ্বিতীয় দিন সকালে প্রথম একটি ঘন্টা একটু দেখে খেলতে পারলে রাহুল এবং রাহানে জুটি ভারতকে আরও বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যাবে সন্দেহ নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি উইকেটই নিয়েছেন লুঙ্গি এনগিদি। উচ্চতা এবং গুড লেন্থ স্পট বুদ্ধি করে ব্যবহার করলেন তিনি। সেঞ্চুরিয়ানের উইকেটে যত সময় যায়, তত গতি বাড়ে। রোদ উঠলে পিচ কিছুটা শুকিয়ে গেলে সুবিধা পান ফাস্ট বোলাররা। রাবাডা, এনগিদি দের লক্ষ্য হবে সোমবার সকালে ভারতকে প্রথমেই ধাক্কা দেওয়া। না হলে কিন্তু এই ম্যাচে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার প্রয়োজন নাও হতে পারে। রাহুল অপরাজিত আছেন ১২২ রানে, রাহানে অপরাজিত ৪০ রানে।