পাকিস্তান বোলাররা সঠিক জায়গায় বল করেছে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের শট খেলার বিশেষ জায়গা দেয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে পাকিস্তানের ব্যাটিং এর সময় কাজটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। শিশির সামাল দেওয়া কঠিন ছিল আমাদের বোলারদের পক্ষে। সত্যি কথা বলতে সব দিক থেকেই আজ ভারতের তুলনায় পেশাদারী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে পাকিস্তান।
তবে এই পরাজয় থেকে আমরা শিক্ষা নেব। পরের ম্যাচে এই ভুলত্রুটি শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করব। টি টোয়েন্টি ফরম্যাট চ্যালেঞ্জিং। কেউ ফেভারিট নয়। আমরা এই পরাজয়ের ফলে ভীত হওয়ার মত দল নই। এটা আমাদের আরও জোরদার প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে। এটা সবে টুর্নামেন্টের শুরু, শেষ নয়। মাথায় রেখেই এগোব।
advertisement
৬-০ নাকি ৫-১? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে এটাই ছিল ভারতীয় সমর্থকদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিরাট কোহলি টস হারের পর থেকেই ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল একটু একটু করে। কিছুটা বিরাট কোহলি এবং ঋষভ পন্থ ছাড়া ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিল। পাকিস্তানের তরুণ ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদি রোহিত শর্মা, রাহুল এবং বিরাট কোহলির উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে দুরন্ত প্লাটফর্ম করে দিয়েছিলেন।
দেখার ছিল ভারতীয় বোলাররা এই রান নিয়ে লড়াই করতে পারেন কিনা। ভুবনেশ্বর কুমারকে প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মেরে ১০ রান নিলেন রিজওয়ান। বাবর প্রমাণ করলেন কেন তিনি এই মুহূর্তে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বের দুই নম্বর ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে রিজওয়ান অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার হজম করতে হল ভারতকে। বিরাট কোহলির লড়াকু ইনিংস কাজে এল না। বাবর এবং রিজওয়ান দুরন্ত ব্যাট করলেন।