দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের পর যখন করোনা ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় শিবিরে, তখন দলের মনোবল সঠিক রাখতে ভিভিএস লক্ষ্মণ বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। ইয়াশ মনে করেন আয়ারল্যান্ড এবং উগান্ডা কঠিন প্রতিপক্ষ না হলেও, নিয়মিত ৫-৬ জনকে ছাড়া মাঠে নামা কঠিন ছিল ভারতের পক্ষে। কিন্তু লক্ষণ স্যার সকলকে বুঝিয়েছিলেন যারা আছে তাদের নিয়েই লড়াই করতে হবে। ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলে।
advertisement
পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক, হাতে ক্রিকেটার যতই কম থাকুক - মাঠে দল নামাতেই হবে। এমনকি যারা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন তাদের সঙ্গেও নিয়মিত ভিডিও সেশন করতেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে ভারত। বুধবার সামনে অস্ট্রেলিয়া। যারা হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে। এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ চারবার চ্যাম্পিয়ন ভারত।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে উঠে গেলে যে কোন পর্যায়ে তারা ট্রফি জয়ের জন্য নিজেদের উজাড় করে দেয়। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো, আর চ্যাম্পিয়নের পথে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর মধ্যে ফারাক আছে। ইয়াশ ধুল বলছেন অস্ট্রেলিয়ান মানসিকতা সম্পর্কে ভিভিএস লক্ষ্মণ তাদের ইনপুট দিচ্ছেন। নক আউট ম্যাচে অজিদের হারানো কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
সব কিছু ব্যাখ্যা করতে চাননি ভারত অধিনায়ক। তবে ব্যাটিংয়ে তিনি নিজে, সঙ্গে রঘুবংশী এবং হারনুর - এই তিনজনের মধ্যে অন্তত একজনকে লম্বা ইনিংস খেলতে হবে বলছেন ইয়াশ। মিডল অর্ডারে শেখ রশিদ, সিন্ধু এবং রাজ
বাওয়া ভরসা দিয়েছেন। বোলিং বিভাগে রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারেকর, রবি কুমার এবং ভিকি দারুন ধারাবাহিক।
তবে ভিভিএস লক্ষ্মণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ যেটা দিয়েছেন, তা হল অতীত পারফরম্যান্স ভুলে গিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ম্যাচ মনে করে মাঠে নামা। অস্ট্রেলিয়া আর বাংলাদেশ এক প্রতিপক্ষ নয়। সুতরাং ফাইনালে উঠতে গেলে ভারতীয় দলকে নিজেদের সেরা ক্রিকেট উপহার দিতে হবে বলছেন ইয়াশ।
নিজের ক্রিকেটার জীবনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বরাবর সফল ছিলেন ভিভিএস। তার সাজেশন মেনে অনূর্ধ্ব উনিশ দল অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারে কিনা সময়ের অপেক্ষা।