অষ্টমের বাড়িতে ম্যাচ দেখার জন্য টিভি ছিল না। এমনকী রেডিও পর্যন্ত ছিল না তাঁর বাড়িতে। তাঁর গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছানোর পথ বেশ দুর্গম। মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে বিষয়টি পৌঁঁছয়। প্রথমে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেনের বাড়িতে টিভি পৌঁছে দেওয়া হয়। এখন তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তাও মেরামত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- এখন কী করবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়,দাদার হাতে রয়েছে ৫টি বিকল্প
advertisement
অবাক করার মতো বিষয়, অষ্টমের বাবা-মা দুজনেই বাড়ির সামনের ওই রাস্তা তৈরির কাজে দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। দুজনকেই রাস্তায় কাজ করতে দেখা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে দুজনেই দিনের মজুরির বিনিময়ে কাজ করছেন। রোজ পান আড়াইশো টাকা।
গুমলা জেলার বিষনপুর ব্লকের বানারী গোড়াতলি গ্রামে এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এই রাস্তা অষ্টম ওরাওঁর বাড়ি পর্যন্ত তৈরি হওয়ার কথা। ভারতীয় মহিলা দলের অধিনায়কের পরিবার দুর্দশার কবলে পড়লেও লড়াই করেছে। দারিদ্র্যঅষ্টমীর বাবা হীরা ওরাওঁ জানান, শ্রমিকের কাজ না করলে সংসার চলবে না। মেয়ে ভারতের অধিনায়ক হওয়ায় খুশি অষ্টমের মা তারা দেবী। তবে এখনই তাঁরা দিনমজুরের কাজ ছাড়তে নারাজ।
অষ্টমের মা বলছিলেন, মেয়ে যা করার সিদ্ধান্ত নেয় সেটা হৃদয় দিয়ে করে। অষ্টমের বাবা প্রতি বছর বেঙ্গালুরু যেতেন একটা সময়। অষ্টমের দাবিতে বাবা আর রোজগারের জন্য ব্যাঙ্গালোরে যাননি। বেঙ্গালুরুর টিকিট ক্যানসেল করে গ্রামে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন- চিন্তা কিছুতেই কমছে না রোহিত শর্মার, টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন আরও এক পেসার
তাঁর মা জানান, দারিদ্র্যের কারণে মেয়েকে জল-ভাত ও শাক খাইয়ে বড় করেছেন। মেয়ে একটা কিছু কাজ শুরু করলে তাঁরা দিনমজুরির কাজ ছেড়ে দেবেন বলে জানান।