আমি এবং রাহুল ভাই সুযোগ না পাওয়া প্লেয়ারদের সাধ্য মতো বোঝাই যে, কেন তারা দলে নেই। প্রতিবার দল নির্বাচনের পর এবং প্রথম একাদশ ঘোষণার পর আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলি। মুখোমুখি কথোপকথন হয়। ধরে ধরে কথা বলি। বুঝিয়ে বলি কেন তারা নেই। কিছু সময় তাদের জুতোয় আমি নিজে পা গলিয়ে দেখি। ২০১১ বিশ্বকাপে আমাকে নেওয়া হয়নি। হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল।
advertisement
আমি এটাই ভেবেছিলাম যে, বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর আর কী বা থাকতে পারে! মন খারাপ করে ঘরে বসেছিলাম। জানি না এরপর কী হবে। আমার মনে আছে এরপর যুবরাজ সিং আমাকে ওর ঘরে ডাকে। আমাকে ডিনার করাতে নিয়ে যায়। ও বুঝিয়ে বলেছিল বাদ পড়ার অনুভূতি ঠিক কেমন হয়। যুবরাজ আমাকে বলেছিল যে, আমার সামনে আরও অনেক বছর রয়েছে।
এটাই সবচেয়ে বড় ব্য়াপার। এরকম ভাবার কোনও কারণ নেই যে, তুমি আর দলে সুযোগ পাবে না বা বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না। বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পরই আমি প্রত্যাবর্তন করি। এভাবেই চলছে তারপর থেকে। দল থেকে বাদ পড়া কোনও ক্রিকেটারকেই, আমাকে বলতে হবে না যে, কেমন লাগে বাদ পড়লে। আমি, কোচেরা এবং নির্বাচকরা যখন দল ঘোষণার আগে বৈঠকে বসি তখন প্রতিপক্ষ, পিচ, আমাদের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা হয়।
রোহিত শর্মা বলেছেন ভারতীয় দল নির্বাচন করার সময় ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ জায়গা পায় না। এটা দেশের দল। কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। জমিদারিও নয়। তাই দেশের স্বার্থে যারা বিশ্বকাপে ভাল করবে মনে করেছেন নির্বাচকরা, তাদেরকেই নেওয়া হয়েছে।